সাবেক ছয় মন্ত্রী,প্রতিমন্ত্রী, চিফ হুইপ ও এমপিকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুর্নীতির অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) তাদের তলব করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুদকের জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
দুদকে তলব করা ছয় মন্ত্রী ও এমপি হলেন-সাবেক নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক চিফ হুইপ নুর-ই আলম চৌধুরী লিটন, সাবেক খাদ্যমন্ত্রীমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এবং আওয়ামী লীগের সাবেক দুই সংসদ সদস্য (এমপি) জিয়াউর রহমান ও কাজিম উদ্দিন আহমেদ।
গত সপ্তাহে সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান ও চিফ হুইপ নুর-ই আলম চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্টদের দুর্নীতির অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। আর ২৯ আগস্ট দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ ১৪ জন সাবেক মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর বিদেশযাত্রা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে দুদকের উপ-পরিচালক আবু হেনা আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের দল কাজ করছে।
দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া মন্ত্রীরা হলেন- সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক,সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, সাবেক শিল্পমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান এবং সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
নিষেধাজ্ঞা দেয়া সংসদ সদস্যরা হলেন-সাবেক সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম, মামুনুর রশিদ কিরণ, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, কাজিম উদ্দিন, নুর-ই-আলম চৌধুরী ও জিয়াউর রহমান।
অভিযোগ রয়েছে, গত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন শেখ হাসিনা সরকারের আমলে মন্ত্রী-এমপিদের মধ্যে কারো আয় অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। আবার কারো স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে তর তর করে। তাদের সম্পদ বাড়ার হার সর্বনিম্ন ১০০ থেকে কয়েক হাজার গুণ। কারো ক্ষেত্রে সম্পদ ও আয় বেড়েছে লক্ষ গুণ পর্যন্ত। নির্বাচনী হলফনামার তথ্য নিয়ে টিআইবির এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন আমলে নিয়ে সাবেক মন্ত্রী ও এমপিদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু হয়।
আপনার মতামত লিখুন :