শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১

সাবেক সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদের বাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ

ডেইলি খবর ডেস্ক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৫, ০৯:২৩ এএম

সাবেক সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদের বাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় সাবেক সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদের গ্রামের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। একই সময় একই এলাকায় চৌমুহনী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আক্তার হোসেন ফয়সলের বাড়িতেও ভাঙচুর-লুটপাট চালায়।
বৃহস্পতিবার (৬ফেব্রæয়ারি) রাত ৮টা থেকে ৯টার দিকে দফায় দফায় এ হামলার ঘটনাগুলো ঘটে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের পৃথক দুইটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়,বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে শতাধিক কিশোরতরুণ ও যুবক লাঠি হাতে নিয়ে সাবেক সেনা প্রধান মঈন ইউ আহমেদের বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার আলীপুর গ্রামের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা সাবেক সেনা প্রধানের ছোট ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মিনহাজ আহমেদ জাবেদের ডুপ্লেক্স বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় এবং ড্রইংরুমের সোফায় আগুন ধরিয়ে দেয়।
প্রায় একই সময় একই ব্যক্তিরা পাশ্ববর্তী একই এলাকার চৌমুহনী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আক্তার হোসেন ফয়সলের বাড়িতেও হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। স্থানীয় একটি সূত্র জানায়,হামলাকারীদের মধ্যে বেশকিছুর মাথায় হেলমেট ও মুখে মাস্ক পরা ছিল। তবে হামলা-ভাঙচুরকালে উভয় বাড়ির বাসিন্দাদের কেউ না থাকায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আর বাড়িতে পাহারাদার যিনি ছিলেন, তিনি ভয়ে পালিয়ে আত্মরক্ষা করেছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলা শাখার আহ্বায়ক মো.আরিফুল ইসলাম জানান,এই হামলা-ভাঙচুর কিংবা অগ্নিসংযোগের ঘটনার সঙ্গে তাদের সংগঠনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। চৌমুহনীর ঘটনাটি সেখানকার রাজনৈতিক। এর সঙ্গে ছাত্রদের কোন সম্পর্ক নেই। তা ছাড়া তাদের যে কর্মসূচি ছিল সেটি ছিল বৃহস্পতিবার দিনের বেলায়।বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান জানান, সাবেক সেনা প্রধান মঈন ইউ আহমেদের বাড়িতে তার ছোট ভাই মিনহাজ আহমেদ জাবেদের দ্বিতল বাড়িতে একদল লোক সন্ধ্যার পর হামলা-ভাঙচুর চালিয়েছে। এইসময়ে তাদের ভবনে কেউ ছিলনা। 
 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!