শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

সীমানা নির্ধারণ করে বন রক্ষা,বালু-দখলদারদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স : চুনতিতে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

ডেইলি খবর ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৪, ২০২৫, ০৬:১৫ পিএম

সীমানা নির্ধারণ করে বন রক্ষা,বালু-দখলদারদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স : চুনতিতে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান  বলেছেন, চুনতি অভয়ারণ্যের সীমানা নির্ধারণের কাজ এখন চলছে। বালু উত্তোলন ও বন দখলের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হবে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশকে এই বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেসব জায়গায় বালু উত্তোলন হয়, সেখানে এমন সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হবে যাতে কেউ ঢুকতে বা বেরোতে না পারে।
আজ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ে বন বিভাগের চট্টগ্রাম সার্কেলেরকর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।উপদেষ্টা বলেন, অচিরেই একটি কর্মপরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামা হবে।তিনি আরও বলেন, সীমানা নির্ধারণের পর বিদ্যমান বন রক্ষায় জোর দেওয়া হবে। অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান চলবে। মানুষের দুর্ভোগ না বাড়িয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
হাতি-মানুষ দ্ব›দ্ব কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, একসময় হাতির দাঁত ও হাড়ের জন্য হাতি মারা হতো। এই ধরনের অর্গানাইজড ক্রাইম রোধে প্রয়োজনে গোয়েন্দা সংস্থাকে কাজে লাগানো হবে।উপদেষ্টা বলেন, হাতি-মানুষ দ্বন্দ্বের সমাধানে মাঠ পর্যায়ে কাজ করা হবে। বন রক্ষা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও অপরাধ দমনে সরকার কঠোর অবস্থানে আছে।
এর পরে উপদেষ্টা, চট্টগ্রামের চুনতি রেঞ্জের আওতাধীন এলাকার পাহাড় কাটা ও অবৈধ দখলের স্থানসমূহ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।এরপর তিনি, কক্সবাজারের ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক পরিদর্শন করেন।  এসময় তিনি পার্কের সার্বিক ব্যবস্থাপনা,প্রাণীদের আবাস, চিকিৎসা ও খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তিনি পার্কে পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো ও দর্শনার্থীবান্ধব সুযোগ-সুবিধা আরও বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি বন্যপ্রাণী পাচার ও অবৈধ শিকার রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
পরিদর্শনকালে উপদেষ্টার সঙ্গে চট্টগ্রাম বন সার্কেলের বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিম, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো: সানাউল্লাহ পাটোয়ারী,ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের বিভাগীয় বন কর্তকর্তা, জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, বন অধিদপ্তর এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!