বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় দৃর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে ৫টি গরু পুড়ে গেছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ২টি মারা গেছে। বাকি তিনটির অবস্থাও গুরুতর।
মেহেন্দিগঞ্জের মুলখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন মেঘনাবেষ্টিত দূর্গম এলাকা গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চরমেঘায় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই এলাকাটি নোয়াখালীর রায়পুর উপজেলা ঘেষা।
গোবিন্দপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন তালুকদার জানান, ওই চরে মহিষ চড়ান মালেক সিকদার। তিনি সেখানে টং ঘর তুলে গরুসহ থাকতেন। মঙ্গলবার রাতে এশার নামাজ পড়তে মসজিদে গেলে দৃর্বৃত্তরা ঘরটিতে আগুন দেয়।
মহিউদ্দিন তালুকদার জানান, চরের বাসিন্দাদের প্রতিরোধের মুখে সেখানকার চিহিৃত সন্ত্রাসী নওসাদ সিকদার দীর্ঘদিন এলাকা ছাড়া। তার নেতৃত্ব একদল নোয়াখালীর রায়পুর থেকে চরে ঢুকে ঘরে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
অপরদিকে গোবিন্দপুর উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান বেল্লাল মোল্লার দাবি, আগুন ধরাতে কাউকে দেখা যায়নি। এ কারণে কাউকে সুনির্দিষ্টভাবে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। খবর পেয়ে তিনিও পুলিশের সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, গরুর মালিক স্থানীয় এমপি পঙ্কজ নাথের সমর্থক। পঙ্কজ সমর্থকের অভিযুক্ত নওশাদকে এলাকা থেকে বিতারিত করেছে। এখন সে পঙ্কজবিরোধী গ্রুপের লোক হিসেবে চিহ্নিত। এ সব কারণে আগুন দিয়ে গরু হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া মেহেন্দীগঞ্জ থানার এসআই মিঠু আহমেদ বলেন, সেখানে ৭টি গরু ছিল। এর মধ্যে ২টি বাছুর মাঠে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি ৫টির মধ্যে ২টি আগুনে পুড়ে মারা গেছে। বাকি তিনটির অবস্থা গুরুতর। এসআই মিঠুর দাবি, এখানে দুটি গ্রুপ আছে। কিছু ঘটলেই দুই পক্ষ দুই দিকে চলে যায়। এ ঘটনায়ও রাজনৈতিক দুটি পক্ষ দুই ধরনের দাবি করছেন।
আপনার মতামত লিখুন :