হাসিনা সরকারের সাবেক মন্ত্রী, মেয়র, সংসদ সদস্যসহ ৪৯ জন আসামিকে রাজধানীর বিভিন্ন থানার ১৪৪ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এসব মামলা করা হয়।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ ও শরীফুর রহমানের আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে গ্রেফতার দেখানোর বিষয়ে শুনানি হয়। শেষে আদালত এসব মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে ফের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, কারাগারে আটক ৪৯ ব্যক্তিকে গ্রেফতার দেখানোর বিষয়ে আবেদন করে পুলিশ। এজন্য তাদেরকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজির করা হয়। এসময় আদালত প্রাঙ্গনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে পুলিশের লালবাগ জোন ও ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগ। পরে আসামিদের উপস্থিতিতে গ্রেফতার দেখানোর শুনানি শুরু হয়।
আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন-ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি, সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী,জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) সংস্থার সাবেক পরিচালক কমোডর মনিরুল ইসলাম, সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সোবহান গোলাপ, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ হিল কাফী, সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, বহিষ্কৃত সেনা অফিসার মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, নাসা গ্রæপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শাসসুদ্দিন চৌধুরী মানিক,একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টামন্ডলীর সভাপতি শাহরিয়ার কবির, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান,সাবেক কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক, সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, বাড্ডা থানা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ার পিন্টু এবং পুলিশের সাবেক ডিসি মশিউর রহমান।
এর মধ্যে আতিকুলকে ১৩ মামলায়, মামুনকে ১৬ মামলায়, কামাল আহম্মেদকে ১২ মামলায়,পলককে ১০ মামলায়, আনিসুলকে ৯ মামলায়,শাহজাহান খানকে ৬ মামলায়, সালমান এফ রহমানকে চার মামলায়, দিপু মনিকে পাঁচ মামলায়, মেনন ও রাজ্জাককে তিনটি করে মামলায়,ব্যারিস্টার সুমন,সাদেক,হাজী সেলিম এবং জিয়াউলের দুটি করে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :