মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের স্ত্রীর ভয়ংকর তথ্য!

আইন-অপরাধ ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২৪, ০৭:৫২ পিএম

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের স্ত্রীর ভয়ংকর তথ্য!

স্ত্রী শাবনাকে নিয়ে দুর্নীতির ভয়ংঙ্কর সিন্ডিকেট কওে অতৃ লুটেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। শুধু তাই নয় তার পরিবারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, চাঁদাবাজি এবং অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ার অভিযোগ উঠেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে,মানিকগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি জাহিদ মালেক, তার স্ত্রী শাবানা মালেক এবং ছেলে রাহাত মালেক শুভ্র মিলে একটি বিশাল রাক্ষসী সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে তার ফুফাতো ভাইসহ একাধিক রাজনৈতিক নেতা ও আত্মীয়স্বজন ছিলেন,যারা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন।
জানা যায়, ২০০৮ সালে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর এক পর্যায়ে তিনি স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী হন। এরপর থেকেই তার পরিবার ক্ষমতার অপব্যবহার শুরু করে। স্ত্রী শাবানা মালেক মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে পরিবহণ খাতে চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। প্রথমে জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বাবুল সরকারকে চাঁদা তোলার দায়িত্ব দেয়া হলেও পরে সম্পর্কের অবনতি ঘটলে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলামকে চাঁদা তোলার দায়িত্ব দেয়া হয়।
অন্যদিকে, তার ছেলে রাহাত মালেক শুভ্র এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সিফাত কৌরাইশি সুমন ও ইরাদ কৌরাইশি ইমনের মাধ্যমে অবৈধ বালু ব্যবসা এবং জমি দখলের মতো কার্যক্রম চালায়। এমনকি সরকারি হাসপাতালে নিয়োগের নিয়ন্ত্রণ নিতেও অভিযোগ রয়েছে।অভিযোগ রয়েছে, জাহিদ মালেকের নির্দেশে তার ফুফাতো ভাই মানিকগঞ্জ সদর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাফিল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক খান তুষারসহ একাধিক রাজনৈতিক নেতা মিলে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সম্পদ আত্মসাৎ করেছেন। ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের শাসনামলে তারা অবৈধভাবে জমি দখল, চাঁদাবাজি এবং টেন্ডার বাণিজ্যের মাধ্যমে সম্পদ গড়ে তুলেছেন।
এছাড়া, মানিকগঞ্জের গড়পাড়া গ্রামে বিলাসবহুল বাড়ি, বাসস্ট্যান্ডে ১০তলা ভবন, ঢাকায় একাধিক ফ্ল্যাটসহ দেশ-বিদেশে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন জাহিদ মালেক ও তার পরিবার। ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য হওয়ার পর তার সম্পদ ১১ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা যায়।
অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতা প্রয়োগ করে স্থানীয় জনগণের জমি নামমাত্র মূল্যে কিনে নেয়া হয়েছে। যারা জমি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, তাদের মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেছেন, জাহিদ মালেকের লোকজন তাদের জমি দখল করে রেখেছে।
মানিকগঞ্জের স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও জনগণও জাহিদ মালেক এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলেছেন। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তারা। সরকারের পতনের আগেই জাহিদ মালেক ও তার পরিবার সপরিবারে ব্যাংকক পালিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে। তবে এই বিষয়ে তার পরিবারের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের একাধিক সুত্র জানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়টি ডাকাতের কবলে পরেিেছল। শুধূ কমিশন আর লুটপাট ছাড়া জনগণের স্বাস্থ্যসেবা ছিল কাজের গরু কাগজে আছে গোয়ালে নেই। জাহিদ মালেকের সিন্ডিকেটের কবলে পওে দেশের স্বাস্থ্যখাতটা ধ্বংষ করেছে।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!