শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, ১০ শিক্ষার্থীসহ দগ্ধ ১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২৫, ০৭:৫৪ পিএম

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, ১০ শিক্ষার্থীসহ দগ্ধ ১৯

মেঘনাবাজার কিশোরগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের চাচা-ভাতিজা এবং ১০ শিক্ষার্থীসহ দগ্ধ হয়েছেন ১৯ জন। এদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে আহতদের পরিবার।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় লুন্দিয়া চরপাড়া মেঘনা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
আহতরা হলেন জয়ধর মিয়ার ছেলে হারুন মিয়া (৪০), বাতেন মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া (১০), আঙ্গুর মিয়ার ছেলে ওয়াসিবুল (১০), তৌহিদ মিয়ার ছেলে সামিউল (৯), মৃত জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে আল আমিন (৮), এরশাদ মিয়ার ছেলে শুভ (৮), উজ্জল মিয়ার ছেলে নিরব (১৫), জিয়া রহমানের ছেলে রাহাত(১২), মনসুর মিয়ার ছেলে ফাহিম (১০), রতন মিয়ার ছেলে আমিন (১০), জব্বার মিয়ার ছেলে হেকিম মিয়া (৫৫), আসাদুল্লাহর ছেলে সেরাজুল (১০), খালেক মিয়ার ছেলে ছিদ্দিক মিয়া (৫৮), আ. মালেকের ছেলে মোর্শিদ মিয়া (৫৫) ও মৃত মোমতাজ মেম্বারের ছেলে নাছির মিয়া (৪০)।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীনরা হলেন— শিশু শিক্ষার্থী ছামিউল, রাহাত, নিরব এবং বাক্প্রতিবন্ধী আ. হেকিম (৫৫) ও হারুন মিয়া।
এছাড়া আহতদের মধ্যে টুকচানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মাদ্রাসার ১০ খুদে শিক্ষার্থী রয়েছে। এ ছাড়া ২ জন ব্রাক্ষণবাড়িয়া বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহতদের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে আগানগর ইউনিয়নের চরপাড়া টুক চানপুর বাজারে নাসির মিয়া সকালের নাস্তা বিক্রি করে দোকান তালা লাগিয়ে চলে যান। কিছুক্ষণ পর আশপাশের লোকজন দোকানের ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন।পরে হারুন মিয়া তালা ভেঙে ভেতরে গিয়ে দেখতে পান সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বের হচ্ছে।
পরে তিনি সিলিন্ডারের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করলে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে ১০ শিক্ষার্থীসহ ১৯ জন দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ৭ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ফারুক মিয়া, নবী হোসেনসহ এলাকাবাসীরা বলেন, ঘটনা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। সরকার যেন আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুনুর রশীদ কালবেলাকে বলেন, আহতদের বাড়িতে গিয়ে তাদের খোঁজ-খবর নিয়েছি। সরকারের পক্ষ থেকে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হবে।ছবি-সংগৃহীত

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!