মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি তাপে মানুষের হাপিত্যেশ

ডেইলি খবর ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৬, ২০২৪, ০৭:২৩ পিএম

চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি তাপে মানুষের হাপিত্যেশ

দেশের দক্ষিণের জেলা চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা বেড়ে গেছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ এই এলাকার জনজীবন। মঙ্গলবার বেলা তিনটায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পরদিন থেকেই চুয়াডাঙ্গা জেলায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ১২ এপ্রিল শুক্রবার জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর থেকে ক্রমেই ওপরে উঠতে থাকে তাপমাত্রার পারদ। শনিবার (১৩ এপ্রিল) ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রোববার (১৪ এপ্রিল) ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও সোমবার (১৫ এপ্রিল) এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বেলা তিনটায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর ১২টায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। এর আগে গত ৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

এ দিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে তীব্র গরমে প্রকৃতিতে এক ধরনের স্থবিরতা নেমে আসতে শুরু করে। সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষেরা। তীব্র গরমের কারণে খুব জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষও। খেটে খাওয়া মানুষেরা বাইরে কড়া রোদ থেকে বাঁচতে অনেকেই গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন। কেউ বা লেবুর শরবত খেয়ে স্বস্তি পেতে চাইছেন।

চুয়াডাঙ্গার সদর সরোজগঞ্জ এলাকার চালের গোডাউনের (চাতাল) কর্মী রোজিনা খাতুন বলেন, ‘গরিবের আবার গরম! পেটে ভাত জোটানোর চিন্তা করলে, ওসব রোদ-গরম সব হাওয়ায় উড়ে যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই গরমেও কাজ করতে খুর কষ্ট হয়। বারবার পানি পিপাসা লাগে। তবু কি আর করার, কাজ তো করতে হবে।’

ভাড়ায় ইজিবাইক চালক আশানুর রহমান বলেন, ‘প্রচণ্ড রোদ-গরমে মানুষ খুব একটা বাইরে বের হচ্ছেন না। তাই ভাড়া খুবই কম। একে তো গরম, তার ওপর তেমন ভাড়া না হওয়ায় খুব কষ্টে আছি। ইজিবাইকের ভাড়াই দিতে হয় ৪০০ টাকা।’

তবে ডাব বিক্রেতা রজব আলী বলেন, ‘ডাব ভালোই বিক্রি হচ্ছে। দেশের অন্য জেলার তুলনায় চুয়াডাঙ্গায় ডাবের দাম স্বাভাবিক। প্রতিদিন গড়ে ১৫০ থেকে ২০০ ডাব বিক্রি করি।’

সরকারি কলেজের সামনে শরবত বিক্রেতা তরুণ উদ্যোক্তা আশিক জামান বলেন, ‘গরম বাড়ায় শরবত বিক্রি বেড়েছে। মানুষ পিপাসা মেটাতে ও একটু স্বস্তি পেতে, লেবুর শরবত পান করছে মানুষ।’

তিনি আরও বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি শরবত পান করছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা।’

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, ‘আগামী কয়েক দিন আবহাওয়া পরিস্থিতি একই রকম থাকবে। এ সময় তাপমাত্রা আরও বাড়বে। আপাতত স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে কালবৈশাখী ঝড় হলে, তার সাথে বৃষ্টি হতে পারে। এটা আগে থেকে বলা সম্ভব নয়।’

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!