ঈদুল ফিতরে এবার স্বস্তির বাড়ি ফেরা শুরু হয়েছে। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ পালন করতে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন হাজার হাজার শহরে থাকা মানুষ। করেছেন অনেকেই। অন্যদিকে গত সোমবার(২৪ মার্চ) থেকে ঈদ উপলক্ষে আগাম টিকিটে ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। ঈদের আনন্দের দিনটি যত কাছে আসছে স্টেশনে বাড়ছে যাত্রীদের সংখ্যা। তবে এখন পর্যন্ত পূর্বের মতো চিরচেনা উপচেপড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে না। ফলে যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে।
কমলাপুর রেলস্টেশনে সকাল থেকে সব ট্রেনই ছেড়েছে নির্দিষ্ট সময়ে। ঈদে যাত্রীদের বাড়তি চাপ সামলাতে ইতিমধ্যে পাঁচ জোড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেন চালু করা হয়েছে। এছাড়া রেলের আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে যুক্ত করা হয়েছে ৪৪টি নতুন কোচ।যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে টিকিট ছাড়া প্লাটফর্মে প্রবেশ এবং ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ ঠেকাতে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। কমলাপুর রেলস্টেশনের পাশাপাশি জয়দপুর ও বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনেও নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার বলেন, সময় মেনে ট্রেন স্টেশন ছেড়ে যাওয়ায় স্টেশনে অতিরিক্ত যাত্রী জড়ো হচ্ছে না। আর বাড়তি ভিরও পরিলক্ষিত হচ্ছেনা।প্রতিদিন ৫০ হাজার যাত্রী দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে এই কমলাপু ছেড়ে যাচ্ছেন। ২৭ সার্চ বিকেল থেকে যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামীকাল সরকারি ছুটির প্রথম দিনে গার্মেন্টস কারখানা ছুটির পরে পূর্ণোদ্দমে যাত্রীর আগমন শুরু হবে। বেনাপোলগামী রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস প্রায় ১ ঘন্টা বিলম্ব করেছে। এছাড়া এখনো পর্যন্ত ছেড়ে যাওয়া আর কোনো ট্রেনই সিডিউল মিস করেনি।
অন্যদিকে,গত কয়েক দিনের তুলনায় সড়কে যাত্রীর চাপ বাড়লেও সেখানে তেমন দৃশ্যমান ভিড় নেই। বাস কাউন্টারে কর্মীরা অলস সময় কাটাচ্ছেন, কেউ কেউ যাত্রীদের ডাকছেন। বাস সময়মতো ছাড়ায় যাত্রীরা স্বস্তি প্রকাশ করছেন এবং অনলাইনে টিকিট পেয়ে তাদের ভোগান্তি কমে গেছে বলে জানিয়েছেন।
র্যাব-৪ এর সিও কর্নেল মো. মাহবুব আলম বলেন, ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রথম স্তরে ২৪টি টহল কার্যক্রম চালানো হবে। দ্বিতীয় স্তরে ছিনতাইকারী ও মলমপার্টির হাত থেকে রক্ষা করতে সাদা পোশাকে র্যাব সদস্যরা কাজ করছেন। তৃতীয় স্তরে মোবাইল স্ট্রাইকিং কোর্ট রয়েছে, যাতে দ্রæত ব্যবস্থা নেয়া যায়।
আপনার মতামত লিখুন :