রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১

লাগামহীন মাংসের বাজার

ডেইলি খবর ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০২৫, ০২:২৩ পিএম

লাগামহীন মাংসের বাজার

ঈদুল ফিতরের ৯ দিন আগে থেকেই মাংসের বাজার লাগামহীন দাম বৃৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে তিন দিনের ব্যবধানে মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। গরুর মাংসের দামও বেড়েছে। কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কমেনি খেজুর, বেগুন, লেবুর দাম। তবে মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এবারের রমজানে কাঁচাবাজার ও অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য ছোলা, খেজুর, চিনির দাম আগেরবারের তুলনায় অনেকটাই কম ছিল। তবে বেগুন, শসা ও লেবুর দাম ছিল লাগামহীন। অবশ্য কয়েক দিনের মধ্যেই সেটি কমে এসেছিল। কমেছিল মাছ-মুরগির দামও। কিন্তু ঈদ টার্গেট করে আবারও কিছু কিছু জিনিসের দাম বৃদ্ধির তৎপরতা শুরু করেছে অতিমুনাফাখোররা। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।  ঈদ সামনে রেখে বাড়ছে সব ধরনের মুরগির দাম। হাতিরপুল বাজারের মুরগি বিক্রেতা শফিক আলী বলেন, কয়েক দিন ধরে প্রতিদিনই বাড়ছে দাম। আমরা দাম বাড়াচ্ছি না। খামারিরা ঈদে বেশি দামে বিক্রি করবেন। এ জন্য তারা সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে বাজারে দাম বাড়ছে। কয়েক দিন আগে ব্রয়লার ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। বর্তমানে ২২০ টাকায় ঠেকেছে। ২৬০ টাকার সোনালি মুরগি ৩২০ টাকা হয়েছে। দেশি মুরগি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। মুরগির মতো গরুর মাংসের দামও বাড়তি বলে খুচরা বিক্রেতারা জানান। আগে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও গতকাল বিভিন্ন বাজারে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। এ ছাড়া বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দামও কম রয়েছে। বর্তমানে ঢাকার বাজারগুলোতে এক ডজন ডিম ১১০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অবশ্য পাড়া-মহল্লায় এ দাম কিছুটা বেশি নেওয়া হয়। বাজারে মিনিকেট চালের দাম আরেক দফা বেড়েছে। গত দুই সপ্তাহে মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ৫ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বাজারে রশিদ, ডায়মন্ড, সাগর, মোজাম্মেল ইত্যাদি মিনিকেট চাল জনপ্রিয়। খুচরা দোকানে প্রতি কেজি মিনিকেট চালের দাম ৮৫ টাকা ৮৮ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি দাম মোজাম্মেল ব্র্যান্ডের মিনিকেট চালের। প্রতি কেজি মোজাম্মেল চাল ৯৮ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
ব্যবসায়ীরা জানান, আমন মৌসুম শেষ হওয়ায় বাজারে মিনিকেট চালের মজুতও শেষের দিকে। সরবরাহ কমায় ও ধানের দাম বাড়ায় মিনিকেট চালের দামও বেড়েছে। দাম বাড়ায় মিনিকেটের বিক্রি আগের তুলনায় কমেছে। তবে মাঝারি ও মোটা চালের দাম বাড়েনি।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতারা স্বল্প পরিসরে ঈদের পণ্য কেনাকাটা শুরু করেছেন। বিশেষ করে সেমাই, নুডলস, পোলাওয়ের চাল, বিভিন্ন ধরনের মসলা প্রভৃতি বেচাকেনা হচ্ছে। বিক্রেতারা জানান,পাঁচ-ছয় দিন পর থেকে পুরোদমে ঈদের বেচাকেনা শুররুহবে। বেশির ভাগ ঈদপণ্যের দাম মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে। তবে দাম বেড়েছে এলাচির।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!