পারভেজ উজ্জ্বল, নীলফামারী : নিষিদ্ধ ঘোষিত ভারতীয় ফেনসিডিল ও মদ সহ গ্রেফতার হলেন নিজ গৃহ থেকে স্বামী ও স্ত্রী। গতকাল ৫ এপ্রিল শনিবার রাত ৮ থেকে ৯ টা পর্যন্ত তল্লাশি করে এই মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে নীলফামারী র্যাব ১৩ এর অভিযানিক দল। ঘটনার বিবরণে জানা যায় নীলফামারী শহরের সওদাগর পাড়ার খুচরা কাচামালের ব্যবসায়ী ইউনুস আলীর দ্বিতীয় পুত্র সিরাজুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় নিষিদ্ধ ফেনসিডিল, মদ ও ইয়াবার ব্যবসা করে আসছে। তারই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নীলফামারী র্যাব- ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি (সিপিসি-২) গত শনিবার রাতে জেলা শহরের সওদাগর পাড়ার সিরাজুল ইসলামের বাসায় অভিযান চালিয়ে তার বাড়ি তল্লাসী করে ১৭২ বোতল ফেন্সিডিল ও ৩ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার করে র্যাব সদস্যরা।
এ ঘটনায় গ্রেফতার হন সিরাজুল ইসলাম(৪০) ও তার সহধর্মিণী মাদক বিক্রেতা আঁখি বেগম(৩৫)। র্যাব-১৩ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক(মিডিয়া) বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করে গ্রেফতার কৃত দুই মাদক ব্যবসায়ীকে নীলফামারী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে নীলফামারীর বড় বাজার এলাকায় তার গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে মানুষের মাঝে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। সিরাজুল ইসলাম কে গ্রেফতারে অনেক মানুষ র্যাব এর প্রশংসা করেছেন। বড় বাজার কিচেন মার্কেটের ব্যবসায়ী রবিউল বলেন, এই কয়েক বছর আগে সিরাজ খুচরা কাচামালের ব্যবসা করতো এরপর ফ্লেক্সিলডের দোকান দিয়ে বসে এবং তার বদৌলতে পাঁচতলা ফাউন্ডেশনের বাড়ী, সৈয়দপুরে বিশাল স্বর্ণের দোকান, নীলফামারী বড় বাজার পৌর সুপার মার্কেটে দোকান এবং কয়েকদিন আগে কিচেন মার্কেট সংলগ্ন জিএম মার্কেটে কোটি টাকা ব্যয়ে শপিংমল দিয়েছে। এগুলোর বিষয়ে দুদকের তদন্ত করা উচিত। সিরাজুল আলম ও তার সহধর্মিণী আখি বেগম গ্রেফতার হওয়ায় অন্যান্য মাদক বিক্রেতা গাঁ ঢাকা দিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :