সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১

রাঙ্গাবালীর খালে ভেসে এল ‘টর্পেডো’, বিস্ফোরণের আশঙ্কা

ডেইলি খবর ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২৪, ০৬:৩৯ পিএম

রাঙ্গাবালীর খালে ভেসে এল ‘টর্পেডো’, বিস্ফোরণের আশঙ্কা

জাহাজ বিধ্বংসী অস্ত্র ‘টর্পেডো’র মতো দেখতে লম্বা একটি বস্তু ভেসে এল পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর মীরকান্দা গ্রামের খালে। নকশায় মোড়া ভাসমান বস্তুটি দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করলেও এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এটি ব্যবহৃত বা অকার্যকর টর্পেডো হতে পারে বলে মনে করছেন কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা। সে ক্ষেত্রে বিস্ফোরণ ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী মৌডুবি ইউনিয়নের মীরকান্দা গ্রামের আরাফাত হোসেন বলেন, ‘পাশের রাবনাবাদ চ্যানেল হয়ে হয়তো এটি ভাসতে ভাসতে এই খালে এসেছে। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ২০ থেকে ২৫ ফুট। বস্তুটি দেখতে ভারী কোনো অস্ত্রের মতো। তাই এটিকে উদ্ধার করে সরিয়ে নেওয়ার জন্য দাবি জানাই।’

খবর পেয়ে রোববার দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বস্তুটির কাছ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় লোকজনদের। অন্যত্র যাতে ভেসে না যায়, এ জন্য রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়।

রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, ছবি দেখে এটিকে প্রাথমিকভাবে টর্পেডো বলে বলে ধারণা করছে কোস্ট গার্ড। টর্পেডো ডুবন্ত থাকে। যেহেতু এটি ভেসে এসেছে, তাই ব্যবহৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে কোস্ট গার্ড অবহিত, ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।

এ বিষয়ে কোস্ট গার্ড রাঙ্গাবালী আউটপোস্টের কনটিনজেন্ট কমান্ডার মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমাদের আন্ধারমানিক নদীতে যে টিমটি আছে, সেটি ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। যতটুকু আমি দেখলাম, ওটা টর্পেডো হতে পারে, মিসাইল না। টর্পেডোর মাঝখানে যেভাবে জোড়া থাকে, সেভাবে ওটারও আছে। যেকোনো বড় জাহাজকে ধ্বংস করে দেওয়ার কাজে টর্পেডো ব্যবহার হয়। এটা নৌবাহিনীর কাছে আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘টর্পেডো অনেক ভারী থাকে। সাধারণত এটা পানির নিচে থাকে। যেহেতু এটি ভেসে এসেছে। সুতরাং, ব্যবহার হয়েছে কিংবা ড্যামেজ হয়েছে বলে ধারণা করছি। যদি ভেতরে কোনো বাতাস থাকে, তাহলে বিস্ফোরণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ জন্য বোম ডিসপোজাল ইউনিট গিয়ে ওটা পরীক্ষা করে দেখতে পারে। আমাদের যে টিম ঘটনাস্থলে গেছে, তার রিপোর্টের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

একধরনের স্বচালিত অস্ত্র টর্পেডো পানির নিচ দিয়ে বিস্ফোরক ওয়ারহেড বহন করে এবং লক্ষ্যবস্তুর সংস্পর্শে বা কাছাকাছি আসার পর বিস্ফোরিত হতে পারে। এটি পানির নিচ দিয়ে চলে এবং পানির নিচে বা ওপরে উভয় স্থান থেকে নিক্ষেপিত হতে পারে। এগুলোকে নানা ধরনের উৎক্ষেপক দিয়ে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে ছুড়ে দেওয়া সম্ভব।
 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!