আলোচিত এস আলম গ্রæপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলম) ও তার পরিবারের বিদেশে অর্থ পাচারের বিষয়ে বক্তব্য জানতে ইসলামী ব্যাংকের ২৫ কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার(২৯জানুয়ারি) ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
দুদক সূত্র বলছে,সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস, সাইপ্রাসসহ বিভিন্ন দেশে এক বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি অনুসন্ধানে দুদক তিন সদস্যের একটি দল গঠন করেছে।
দুদক অনুসন্ধান দলের প্রধান উপপরিচালক মো. আবু সাঈদ গণমাধ্যমকে বলেন, অনুসন্ধানের স্বার্থে বক্তব্য জানতে ইসলামী ব্যাংকের ২৫ কর্মকর্তাকে তলব করা হয়েছে। ৫, ৬ ও ৯ ফেব্রæয়ারি তাদের বক্তব্য নেওয়া হবে।
ইসলামী ব্যাংকের যেসব কর্মকর্তাকে তলব করা হয়েছে তারা হলেন- এসভিপি ও শাখাপ্রধান হাবিবুল্লাহ আল আমিন,এভিপি ও অপারেশনস ম্যানেজার কামরুল ইসলাম মামুন,এফএভিপি ও ইনভেস্টমেন্ট ইনচার্জ মো. জাহিরুল ইসলাম সরকার, এফএভিপি ও ফরেন এক্সচেঞ্জ ইনচার্জ এ বি মোর্শেদ, এসপিও ও জিবি ইনচার্জ আশরাফুল আলম, পিও ও ডিলিং অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম, এসইভিপি ও হেড অব জোন (ঢাকা সেন্ট্রাল) মাহমুদুর রহমান, ডিএমপি মিফতাহ উদ্দিন, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী, এএমডি মুহাম্মদ কাইসার আলী, এএমডি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, ডিএমপি ও সিআরও মো. আফতাফ হোসাইন, ডিএমডি এ এম এম কামাল উদ্দিন, ডিএমডি মোহাম্মদ সাব্বির,এসইভিপি মোহাম্মদ উল্লাহ,এসইভিপি জি এম মো. গিয়াস উদ্দিন কাদের, এসইভিপি মো. রফিকুল ইসলাম, ইভিপি মো. ফরিদ উদ্দিন, নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. সালিম উদ্দিন, সদস্য তানভীর আহমেদ, মো. কামরুল হাসান, অধ্যাপক মোহাম্মদ সালেহ জহুর, অধ্যাপক মো. ফসিউল আলম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ মনিরুল মাওলা। প্রশ্ন উঠেছে ইসলামী ব্যাংক সহযোগীতা না করলে এস আলম গ্রæপ লুট করতে পারত না।
আপনার মতামত লিখুন :