বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১

জাবিতে পোষ্য কোটা বহাল ও বাতিলের দাবিতে কর্মসুচি

ডেইলি খবর ডেস্ক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫, ০৬:৩৩ পিএম

জাবিতে পোষ্য কোটা বহাল ও বাতিলের দাবিতে কর্মসুচি

পোষ্য কোটা বহাল ও বাতিলের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। পূর্বের ন্যায় কোটা বহালের দাবিতে বুধবার (৫ ফেব্রæয়ারি) থেকে লাগাতার কর্মবিরতি ঘোষণা দিয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। অন্যদিকে পোষ্য কোটা সম্পূর্ণ বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রæয়ারি) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবস্থান নেন। এ ঘটনায় পরে পর দুপুর পৌনে ২টার শিক্ষার্থীরা বটতলা থেকে একটি মিছিল বের করে বিভিন্ন হল, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। দুপুর সোয়া ৩টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।  
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, কোটা বৈষম্য নিয়ে দেশে একটি গণঅভ্যুত্থান হয়ে গেছে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটার মতো একটি অযৌক্তিক কোটা থাকতে পারে না। তবুও গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পোষ্য কোটা সংস্কার করেছে। কিন্তু আজ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বৈষম্যের পক্ষে অবস্থা নিয়েছে। আমরা পোষ্য কোটার বাতিল চাই। অন্যদিকে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুধবার (৫ফেব্রæয়ারি) থেকে লাগাতার কর্মবিরতি ঘোষণা দিয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। অফিসার সমিতির সভাপতি ও কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মো. আব্দুর রহমান বাবুল এবং কর্মচারী সমিতির সভাপতি ও কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব মো. রফিকুল ইসলাম বকশিসহ  ছয় নেতৃবৃন্দের স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
জাবিতে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন
উপাচার্যের আশ্বাসে অনশন স্থগিত করলেন জাবি শিক্ষার্থীরা জাবিতে পোষ্য কোটা নিয়ে কমিটি গঠন, শিক্ষার্থীদের প্রত্যাখ্যান
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পোষ্য কোটায় ভর্তি বিভাগীয় সকল শর্ত বাতিল করে পূর্বের ন্যায় বহাল রাখার দাবিতে আগামী ৫ ফেব্রæয়ারি থেকে লাগাতার কর্মবিরতি ঘোষণা করা হলো। শুধু জরুরি পরিষেবাসমূহ আওতামুক্ত থাকবে তবে আন্দোলনের প্রয়োজনবোধে জরুরি সেবাসমূহ আওতাভুক্ত করা হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, আমরা ইতোমধ্যে পোষ্য কোটার সংস্কার করেছি। এ বিষয়ে আমরা একটা কমিটিও করেছি। এখানে সব পক্ষেরই দাবি আছে। আমরা ছাত্র শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারী সকলের  বিষয় যেন যৌক্তিক পর্যায়ে আসে আমরা এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করব। আমরা সব পক্ষকে সহযোগী হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

এর আগে সোমবার (৩ ফেব্রæয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পোষ্য কোটায় কিছু পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নেয়। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এক শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ মিলে সর্বোচ্চ ৪০ জন পোষ্য কোটা সুবিধা পাবেন। ভর্তির জন্য পাস নম্বর ৪০% (৩২ নম্বর) নির্ধারণ করা হয়েছে, যা দেশের কৃষক ও শ্রমিকের সন্তানসহ সকল শিক্ষার্থীর জন্য প্রযোজ্য। পূর্বে স্বামী-স্ত্রী,ভাই-বোন, সন্তান ও দত্তক নেওয়া সন্তানের ক্ষেত্রে এই সুবিধা প্রযোজ্য থাকলেও এখন শুধুমাত্র সন্তানরাই এই সুবিধা পাবেন। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের চাকরি জীবনে একবারই এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। যদি তাদের একাধিক সন্তান থাকে, তাহলে কেবল একজন এই সুবিধা পাবে। কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী যে বিভাগে কর্মরত, সেই বিভাগে তার সন্তান ভর্তি হতে পারবে না। সর্বশেষ জানা গেছে পোষ্য কোটা রাখা না রাখা নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সাথে মুখোমুখী অবস্থানে শিক্ষার্থীরা।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!