রাজধানীর তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব নিরসনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বৈঠকে বসবে না কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজ। আজ সোমবার রাত ১০টায় এ বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। ২৫ নভেম্বর রাত ৮টা ৪০ মিনিটের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুই কলেজের অধ্যক্ষ।
কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান বলেন, আলোচনায় বসার জন্য ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু আমরা যাচ্ছি না। এটা আলোচনার সময় না। শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত আছি। আলোচনার সময় নেই এখন। এখন আবার কিসের আলোচনা। অনেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি। এখন পর্যন্ত ৪০ শিক্ষার্থীর আহতের খবর পেয়েছি। শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যয় কলেজ বহন করবে।
সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ কাকলী মুখোপাধ্যায় বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী কবি নজরুল কলেজ যেহেতু যাচ্ছে না সেহেতু আমরাও যাব না। আমাদের ছাত্রদের রক্তের ওপর দিয়ে আমরা কোনো সংলাপে যাব না। মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের সঙ্গে কোনো বৈঠক করব না আমরা।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি তারা আমাদের এ সংকট সময়ে আমাদের কথা ভেবেছে। তবে আমরা চাই আমাদের শিক্ষামন্ত্রণালয় সবকিছু তদন্ত করুক। শিক্ষামন্ত্রণালয় যদি সবাইকে নিয়ে বসে তখন আমরা বসব। মোল্লা কলেজের সঙ্গে এখন আলোচনায় বসলে আমাদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বেঈমানি করা হবে।
এর আগে সন্ধ্যায় রাজধানী বাংলামটরের রূপায়ন টাওয়ারে তিন কলেজের শিক্ষক,শিক্ষার্থী প্রতিনিধি,রাজনৈতিক দল এবং সমন্বয়কদের নিয়ে আলোচনার ডাক দেন কেন্দ্রীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। দুই কলেজের অধ্যক্ষ জানান,কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তারিকুল ফোন করে বৈঠকে বসার আহ্বান জানান। তবে সমন্বয়ক তারিকুলকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
এর আগে দুই কলেজের অধ্যক্ষ জানান তাদের কলেজের কোনো শিক্ষার্থী নিহত হননি। অনেক শিক্ষার্থী আহত, তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যয় কলেজ বহন করবে। সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ কাকলী মুখোপাধ্যায় বলেন, কলেজের কোনো শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর আসেনি। অনেক পেজ ও মিডিয়া ভুয়া তথ্য ছড়িয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন, তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে কতজন আহত হয়েছে,তার সঠিক তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :