শিক্ষাজীবনের প্রথম পাবলিক পরীক্ষা এসএসসি। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) থেকে শুরু হচ্ছে ২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। এ বছর ১৯ লাখ ২৮ হাজার পরীক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এ পরীক্ষায় অংশ নেবে।এবার প্রায় ২০ লাখের মতো শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।
এদিকে সুষ্ঠু, সুন্দর ও সম্পূর্ণ নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে গতকাল মঙ্গলবার কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।এরইমধ্যেই ১১টি শিক্ষাবোর্ডের কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে উত্তরপত্রসহ আনুষাঙ্গিক সরঞ্জামও। বসানো হয়েছে সিট নম্বর। নিশ্চিত করা হয়েছে কেন্দ্রের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা। আন্তঃশিক্ষাবোর্ড জানিয়েছে, নানা চ্যালেঞ্জ থাকলেও সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা আয়োজনে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ নেই জানিয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, বিশেষ কোনো মহলের গুজব নিয়ে সতর্ক অবস্থানে আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীও।
বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. খোন্দকার এহসানুল কবির বলেন,প্রস্তুতি সম্পন্ন। এখনও পর্যন্ত আমরা আমাদের কোনো ঘাটতি দেখতে পাচ্ছি না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী এবং আমাদের মনিটরিং টিম যেটা আছে এবং প্রত্যেক বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্তরা সজাগ আছেন।
জুলাই- আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত অনেক শিক্ষার্থীই এবার পরীক্ষায় অংশ নেবে। তাই পরীক্ষার হলে বসে লিখতে অক্ষম পরীক্ষার্থীরা প্রয়োজন সাপেক্ষে বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের জন্য নির্ধারিত সুবিধা পাবে।ড. খোন্দকার এহসানুল কবির বলেন, শিক্ষার্থীরা যদি পরীক্ষার হল রুমে বসে পরীক্ষা দিতে অক্ষম হয়, তাহলে প্রত্যেক জেলা প্রশাসককে সেই নির্দেশনা দেয়া আছে কীভাবে তাদের পরীক্ষা নেয়া হবে। আহত অনুসারে তারা সেই ব্যবস্থা করবেন।
মানতে হবে যেসব নির্দেশনা-১. পরীক্ষা শুরুর ৩০ (ত্রিশ) মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। ২.প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। ৩.প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং উভয় পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।
৪. পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট হতে পরীক্ষা শুরৃর কমপক্ষে তিন দিন পূর্বে সংগ্রহ করবে। ৫.শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়গুলো এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে প্রেরণ করবে।৬.পরীক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ উত্তরপত্রের ঙগজ ফরমে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না।৭.পরীক্ষার্থীকে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক অংশে পৃথকভাবে পাস করতে হবে।
৮.প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল নিবন্ধনপত্রে বর্ণিত বিষয়/বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই ভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।৯. কোন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা (সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক) নিজ বিদ্যালয়ে/প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না। পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে।১০.পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে।
১১. কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি/পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে মুঠোফোন আনতে এবং ব্যবহার করতে পারবেন না।১২. সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়),বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির জন্য একই উপস্থিতি পত্র ব্যবহার করতে হবে।১৩. ব্যবহারিক পরীক্ষা নিজ নিজ কেন্দ্র/ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।১৪.পরীক্ষার ফল প্রকাশের ৭ (সাত) দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষার জন্য অনলাইনে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :