২০০ কোটির তোলাবাজি, অর্থ পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সুকেশকে অবশ্য অন্য ভাবেও চেনে গোটা দেশ। সলমন খানের নায়িকা জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে ‘ভালবাসেন’ তিনি।
সে উত্তর না পাওয়া গেলেও সংশোধনাগারের লৌহকপাট যে তাঁর উদ্দাম প্রেমে আগল দিতে পারেনি, তা বেশ বোঝা যায়। প্রিয় নারীর জন্মদিনে দামি উপহার পাঠানোর প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন বার বার। নতুন ব্যবসার পরিকল্পনাও করেছেন লৌহকপাটের নেপথ্যেই, চিঠি লিখেছেন ইলন মাস্ককে। কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চান মাস্কের সংস্থায়। তিনি স্বপ্ন দেখেন সাফল্যের— সুকেশ চন্দ্রশেখর। এ বার তাঁকে নিয়েই তৈরি হতে চলেছে তথ্যচিত্র।
২০০ কোটির তোলাবাজি, অর্থ পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সুকেশকে অবশ্য অন্য ভাবেও চেনে গোটা দেশ। সলমন খানের নায়িকা জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে ‘ভালবাসেন’ তিনি। প্রাথমিক ভাবে সে সব অস্বীকার করলেও, জ্যাকলিন পরে জানান ‘বিশেষ উপহার’ তিনি পেয়েছেন সুকেশের থেকে। সেই সব উপহার তিনি দিয়েছিলেন ভালবেসেই। এ বার কি সুকেশকে নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্রেও দেখা যাবে নায়িকাকে?
সূত্রের খবর, একটি প্রথম সারির ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সুকেশের উপর এই তথ্যচিত্র তৈরি করতে চাইছে। আর সেখানে জ্যাকলিনের থেকে বড় মুখ আর কেউ হতে পারেন না বলেই মনে করছেন কর্তৃপক্ষ। যত দূর জানা গিয়েছে, আদালতকক্ষের নাটকীয়তার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে মনস্তাত্ত্বিক সত্যান্বেষণ। থাকবে সামাজিক সমীক্ষণও।
২০২১ সাল থেকে জ্যাকলিন ও সুকেশের কাহিনি সংবাদ শিরোনামে। বিত্তবানের ঘরে সিঁধ কাটেন সুকেশ। যদিও এই প্রথম নয়। সুকেশের জীবন ইতিহাসে রয়েছে লটারি কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে তোলাবাজি পর্যন্ত নানা পর্যায়। সূত্রের খবর, এমন বর্ণময় অভিযুক্তের জীবনের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছেন জ্যাকলিন। তাই তাঁর বক্তব্য ছবিতে থাকা কাহিনি বয়নের জন্য খুব প্রয়োজন। সেই অনুযায়ী প্রস্তাব গিয়েছে অভিনেত্রীর কাছে। সূত্রের দাবি, বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য সময় চেয়েছেন জ্যাকলিন। কী ভাবে তাঁকে দেখানো হবে, তা নিয়ে কিছু সংশয় রয়েছে নায়িকার মধ্য।
মনে করা হচ্ছে, ২০২৬ নাগাদ এ ছবির কাজ শুরু হতে পারে। যে হেতু সুকেশ এখনও বিচারাধীন তাই আইনি কিছু জটিলতা রয়েছে ছবি তৈরির ক্ষেত্রে। সূত্রটি জানিয়েছে, সে সব মিটিয়ে নিতে পারলেই শুরু হবে শুটিং।
সদ্য নিজের মাকে হারিয়েছেন জ্যাকলিন। সেই দুঃসময়ও যে সুকেশ তাঁর পাশে আছেন তা জানান দিয়েছেন চিঠির মাধ্যমেই। সুকেশ জানিয়েছেন,বালিতে তিনি জ্যাকলিনের জন্য একটি লিলি ও একটি টিউলিপ বাগান কিনেছেন। কারণ, জ্যাকলিনের মা এই ফুল দু’টি ভালবাসতেন। পাশাপাশি ভ্যাটিক্যানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজনও তিনি করেছেন বলে দাবি। সুকেশের এই চিঠি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল।সুত্র-আন্দবাজার
আপনার মতামত লিখুন :