মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল, ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১

শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ কালো টাকা সাদা করেছেন

আইন-অপরাধ ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ২৬, ২০২৫, ০৫:০৩ পিএম

শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ কালো টাকা সাদা করেছেন

এক সময়ে ইওেফাকের সাব এডিটর যিনি ক্ষিদে পেলে টেবিলের নীচে মাথা নিয়ে শুকনো টোস্ট বিস্তুক লাল চা দিয়ে ভিজিয়ে খেতেন  সেই সাব এডিটর আবুল কালাম আজাদ শেখ হাসিনার প্রেস সচিবের পদ পেয়ে দুর্নীতি-লুটপাটের মাধ্যমে অভৈধ ভাবে আয় করা কালো টাকা সাদা করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সাবেক প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে কালো টাকা সাদা করার প্রমাণ পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট (আইটিআইআইইউ)। তাঁদের তিনজনের নামে ছয় কোটি টাকার এফডিআর ফ্রিজ করা হয়েছে। এ ছাড়া সাংবাদিক শ্যামল দত্ত ও তাঁর স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করা হয়েছে।এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এনবিআর সূত্র জানিয়েছে, সাবেক প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ, তাঁর স্ত্রী আক্তারি বেগম ও ছেলে ইশতিয়াক আজাদের নামে চারটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এগুলোর মূল্য ৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। তাঁরা কর ফাইলে দেখিয়েছেন ২ কোটি ৩ লাখ টাকা। এসব ফ্ল্যাটের কর পরিশোধ করেছেন আয়কর আইনের কালো টাকা সাদা করার ধারার সুযোগ নিয়ে।
এ ছাড়া আক্তারি বেগম ২০২০-২০২১ করবর্ষে কালো টাকা সাদা করার ধারার সুযোগ নিয়ে আরও ৪ কোটি টাকা ঘোষণা দিয়েছেন। অর্থাৎ, কর ফাইলে প্রদর্শন করেছেন। তাদের তিনজনের নামে ছয় কোটি টাকার এফডিআরও পাওয়া গেছে। এফডিআরের এ টাকা ফ্রিজ করেছে আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট (আইটিআইআইইউ)।
সাংবাদিক শ্যামল দত্ত ও তাঁর স্ত্রী সঞ্চিতা দত্তের ব্যাংক হিসাবও স্থগিত করা হয়েছে। তাঁদের ও তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের (প্রোপাইটরশিপ-সাদিয়া ট্রাভেলস ও অন্যান্য) নামে এফডিআর হিসাব ও স্থায়ী আমানত হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলন বা স্থানান্তর স্থগিত করা হয়েছে। তাদের আমানতের স্থিতির তথ্য তিন কার্য দিবসের মধ্যে পাঠাতে দেশের সব তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি দিয়েছে আয়কর গোয়েন্দা।এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, শ্যামল দত্ত তার বেতনের অর্থও আয়কর নথিতে প্রদর্শন করতেন না।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!