কেয়া কসমেটিকসের পাঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। প্রতারনার মাধ্যমে ঋণের নামে ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কেয়া গ্রæপের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পাঠান ও সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।দুদকের উপপরিচালক আজিজুল হক বাদী হয়ে এই মামলা দুটি দায়ের করেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঋণের নামে এই ৫২৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দুটি দায়ের করেছে দুদক।
প্রথম মামলায় আসামি করা হয়েছে, কেয়া গ্রæপের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পাঠান, সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের তৎকালীন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও গুলশান শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ক্রেডিট ইনচার্জ মো. মোর্শেদ আলম মামুন, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা প্রধান মো. রেজওয়ানুল কবির, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এক্সপোর্ট ইনচার্জ অমীয় কুমার মল্লিক ও এসএভিপি অ্যান্ড এক্সপোর্ট ইনচার্জ মো. আশরাফুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় থেকে কোনো প্রকার ঋণ অনুমোদন ছাড়াই ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে আসামিরা ৪৯৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে।
অন্যদিকে দ্বিতীয় মামলায় মোট ৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন-কেয়া গ্রæপের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পাঠান, সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের তৎকালীন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও গুলশান শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ক্রেডিট ইনচার্জ মো. মোর্শেদ আলম মামুন ও এসএভিপি অ্যান্ড এক্সপোর্ট ইনচার্জ মো. আশরাফুল ইসলাম।
এজাহারে বলা হয়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাউথইস্ট ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ২৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে আসামিরা। তাদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪২০/৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাগুলো করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :