বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১

শমী ও তাপস রিমান্ডে

আইন-অপরাধ ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২৪, ০৮:১৩ পিএম

শমী ও তাপস রিমান্ডে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ইশতিয়াক মাহমুদ নামের একজন আন্দোলনকারীকে হত্যাচেষ্টার মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সার ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল গান বাংলার প্রধান নির্বাহী কৌশিক হোসেন তাপসকে ৩ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান তাদের এ রিমান্ড আদেশ দেন।গতকাল (৫ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে শমী কায়সারকে গ্রেফতার করে উত্তরা পশ্চিম ও পূর্ব থানা পুলিশ। এদিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শমী কায়সারকে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। অন্যদিকে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
এর আগে সোমবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর উত্তরা থেকে তাপসকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাপসকে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। অন্যদিকে তাপসের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তবে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপস্থিত না থাকায় বুধবার রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বুধবার ৬ নভেম্বর  রিমান্ড শুনানি শেষে প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান।২৯ অক্টোবর ইশতিয়াক মাহমুদ নামের একজন ভুক্তভোগী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।মামলায় সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ ১২৬ জনকে আসামি করা হয়। শমী কায়সার এ মামলায় ২৪ নম্বর ও তাপস ৯ নম্বর এজহারনামীয় আসামি।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়,আসামি একজন আওয়ামী লীগ নেত্রী। গত ১৮ জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে উত্তরা পূর্ব থানাধীন ৪নং সেক্টরস্থ আজমপুর নওয়াব হাবিবুল্লাহ হাইস্কুলের সামনে পাকা রাস্তার ওপর পৌঁছামাত্র আওয়ামী লীগ,যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী ক্যাডার এজাহারনামীয় আসামিরা বাদীর ওপর অতর্কিতভাবে হামলা,মারধরসহ গুলি বর্ষণ করতে থাকে।আসামিদের ছোড়া গুলি বাদীর পেটে,পিঠে, হাতে, মাথায় লাগলে গুরুতর আহত হয়।
শমী কায়সার আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ছিলেন। পাশাপাশি দেশের ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিভিন্ন মন্তব্য করে বিতর্কিত হয়েছিলেন শমী কায়সার। তাছাড়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে গত ১৩ অক্টোবর মাগুরার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শমী কায়সারের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মোহাম্মদ রেজওয়ান কবির। আদালত মামলাটি ঝিনাইদহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!