বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

সম্পদের পাহাড়ে ভোলার ডন হেলিকপ্টার শাওন

আইন-অপরাধ ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২৪, ০৭:১৫ পিএম

সম্পদের পাহাড়ে ভোলার ডন হেলিকপ্টার শাওন

খুচড়া চাঁদাবাজ থেকে এমপি। এরপর টানা ১৭ বছর আর পিছেেন ফিরে তাকাতে হয়নি ভেলার ডনখ্যাত নুরুন্নবী চৌধরী শাওনকে। এক সময় রাজধানী ঢাকার দক্ণি যুবলীগের ছিলেন সাধারন সম্পাদক। ক্যাসিনো স¤্রাটের সাথে যৌথভাগবাটোয়ার চাদাবাজীর টাকায় তার বিলাসবহুর জীবন চলার পথ বেয়েবেয়ে এক পর্যয়ে উপনির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয় হয় যান এমপি। বডিগার্ড ইব্রাহিম তার পিস্তলে গুলিবিদ্ধ হলেও তিনি মামলার আসামী থেকে বাদ পরেন। ওই সময়ে ডিএমপির কমিশনার বর্তমানে গ্রপ্তারকৃত সাবেক আইজিপি শহিদুল হক নিজেই ঘাষনা দেন শাওন খুন করেননি। কমিশনার এমন সাপাই গাওয়া নিয়ে ব্যাপক সমালোচনারে ,মধ্য পরেন শহিদুরহক। এভাবে জীবন চলা নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন হয়ে উঠেছেন ভোলার ডন হেলিকপ্টার শাওন। টাকার জোড়ে চলাফেরর মুল যান হয় হেলিকেপ্টার। এরপর থেকে তাকে হেলিকপ্টার শাওন বলেও ডাকেন এলাকার সাধারন মানুষ। সাবেক শেখ হাসিনা সরকারের আমলের সাবে এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। অভিযোগ আছে প্রমানও রয়েছে মতিঝিল পাড়ার ক্যাসিনোর মাধ্যমে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা কামানো ছাড়াও চাঁদাবাজি,টেন্ডারবাজি,চরদখল ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলনসহ নানা অপকর্মের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে ‘ভোলার ডন’খ্যাত সাবেক এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে। শুধু তা-ই নয়,হেলিকপ্টারের মাধ্যমে সারাদেশে ইয়াবা পাচারের মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। জানা গেছে,এসব কর্মকান্ডের মাধ্যমে গত ১৬ বছরে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন শাওন। উপরন্তু একসময় ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের গডফাদারও বলা হতো তাকে। অসংখ্য অপকর্মের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে বহাল তবিয়তেই ছিলেন শাওন; ছিলেন দোর্দন্ড প্রতাপশালী। তার বিরুদ্ধে কেউ টু শব্দটি করলেই চলত দমন, পীড়ন, নির্যাতন। এ থেকে রেহাই পাননি ভিন্নমতাবলম্বী নিজ দলের নেতাকর্মীরাও; কিন্তু দেশের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর নিজেও আত্মগোপনে চলে গেছেন ভোলার মূর্তিমান এই আতঙ্ক। ২০১০ সালে উপ-নির্বাচনে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে চালিয়েছেন বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনসহ নানাবিধ অপকর্ম। শুরুটা হয় ঢাকায় যুবলীগ নেতা চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী ইব্রাহিম হত্যার মধ্য দিয়ে। যদিও এ হত্যাকান্ডে দায়ের করা মামলায় ক্ষমতার প্রভাবে চার্জশিট থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করিয়ে নেন শাওন।
ভোলা-৩ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য ১৬ বছর ক্ষমতার দাপটে বিরোধী পক্ষের ওপর যারপরনাই দমন-পীড়ন চালিয়েছেন। সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন বীরবিক্রমের ওপর একাধিকার হামলা চালানো হয় শাওনের নির্দেশে। নির্বাচনী এলাকায় হাফিজ উদ্দিনের প্রবেশে ছিল শাওনের অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা। ২০১৮ সালে নির্বাচনকালে ঘরের মধ্যে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় বিএনপির এই নেতাকে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ-চারবারের সংসদ সদস্য শাওন তিনবারই অনিয়ন-দুর্নীতির মাধ্যমে সাজানো নির্বাচনে নিজের বিজয় নিশ্চিত করেছেন। শাওনের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ায় নিজ দলের অপর সাবেক সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা মেজর (অব) জসিম উদ্দিনের গাড়িবহরে একাধিকবার হামলা করে শাওনের ক্যাডার-বাহিনী। ভিন্ন মতের কারণে শাওন নিজ দলের সাবেক উপজেলা চেয়াম্যান অধ্যক্ষ নজরুল ইসলামকেও নানাভাবে নাজেহাল করেন,চালান হামলা। হামলার পর মেজর (অব) জসিম উদ্দিন শাওনের বিরুদ্ধে লালমোহন ও তজুমদ্দিন থানায় একাধিক অভিযোগ দিয়েও কোনো আইনি সহায়তা পাননি। এই নিয়ে তৎকালে অভিযোগও তোলেন জসিম; কিন্তু তাতে শাওনের কিছুই হয়নি।
সম্প্রতি তজুমদ্দিন উপজেলার চাচড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াদ হোসেন হান্নান ও লালমোহনের চরভুতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হোসেন ভোলা প্রেসক্লাবে অভিযোগ করে বলেন, ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরনবী চৌধুরী শাওনের নির্দেশে তার সন্ত্রাসীরা বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। সন্ত্রাসীরা ১৪টি বসতঘর,দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
কাধিক সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, শাওন ও তার স্ত্রী ফারজানা চৌধুরীর নামে-বেনামে রয়েছে হাজার কোটি টাকার সম্পদ। শাওনের নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা ও শিক্ষকদের অভিযোগ- লালমোহন ও তজুমদ্দিনে টেন্ডারবাজি-চাঁদাবাজি করে সাবেক এই সংসদ সদস্য কামিয়েছেন শত শত কোটি টাকা। এসবের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বরাদ্দের টাকা লুটপাট, মাধ্যমিক স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রকারভেদে নিয়েছেন ৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত। অভিযোগ রয়েছে-শাওনের নির্দেশ ছাড়া কোনো নিয়েগ প্রক্রিয়াই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতো না।
ভোলার একাধিক সূত্র বলছে, লালমোহন উপজেলা সদরে স্কুল-মার্কেট নির্মানকালে শাওন ৭ কোটি টাকা চাঁদা নিয়েছেন। পৌরসভা,জেলা পরিষদ থেকে ভুয়া বিল-ভাউচার করে তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন ২০ কোটি টাকারও বেশি। এ ছাড়া স্কুলের পুকুর বিক্রি করে দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন কোটি টাকারও বেশি। পৌরসভা, সড়ক ও জনপথ, এলজিইডির কাছ থেকে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ দেখিয়ে ভুয়া বিল করে শাওন ৫০০ কোটি টাকারও বেশি হাতিয়ে নিয়েছেন। এসব ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা দায়ের করা হয়। এ ছাড়াও আওয়ামী লীগের শাসনামলে কিচেন মার্কেটসহ বিভিন্ন সড়ক ও ফুটপাতের দোকান থেকে প্রতিদিন চাঁদা তোলা হতো শাওনের নামে।
অভিযোগ রয়েছে-লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলার প্রায় সব দপ্তর থেকে টেন্ডারবাণিজ্যের মাধ্যমে শাওন শত শত কোটি টাকা কামিয়েছেন। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার পরও সড়কে অবৈধ যানবাহন চলত তার সবুজ সংকেতে। এর বিনিময়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা তুলতেন শাওনের ক্যাডাররা। সর্বশেষ, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে লালমোহন পৌরসভার টোল আদায়ের কাজ দেওয়ার বিপরীতে ইজারাদারের কাছ থেকে আগাম ৮০ লাখ টাকা আদায় করেন শাওন।এ ছাড়াও বিভিন্ন সময় সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঠিকাদারদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা নিয়ে নিজের বাবার নামে হাজী নুরুল ইসলাম কলেজ নির্মাণ করেন। চরদখল নিয়েও শাওনের বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। ভূমিহীনদের কার্ড দেওয়ার নামেও চাঁদা তোলা হতো বলে অভিযোগ রয়েছে।
লালমোহন উপজেলার চরভুতা এলাকার বাসিন্দা মো. সামসুল আলম বলেন,আমাকে ভূমিহীনের কার্ড দেওয়ার কথা বলে সাবেক এমপি শাওন তার এপিএসের মাধ্যমে টাকা নিয়েছেন। আরও অনেক ভুক্তভোগী এমন অভিযোগ তুলেছেন।
২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঢাকায় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে নামে। এমপি শাওনের বিরুদ্ধে তিনটি ক্লাবে ক্যাসিনোর কারবার চালানোর তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়। শাওন তখন গা-ঢাকা দেন। ওই সময় ক্যাসিনো ব্যবসা,চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী প্রায় ২০০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ে দুদকে। ওই তালিকায় শাওনের নামও ছিল। অভিযোগের অনুসন্ধান চলাকালে তিনি যেন দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন, সেজন্য ২০২১ সালের ১৩ জুন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের আদেশে তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দুদক।
গত ৫ আগস্ট আত্মগোপনে যাওয়ার পর নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনকে আসামি করে লালমোহন থানায় দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা দুটির বাদী লালমোহন পৌর যুবদলের সদস্য মো. মাকসুদ আলম ও আজাদ রহমান। দুটির মধ্যে একটি মামলার ঘটনা দেখানো হযেছে ২০১১ সালে হত্যাচেষ্টা অন্যটি ২০২২ সালের জানুযারিতে চাঁদাবাজি। মামলা দুইটিতে প্রধান আসামি করা হয়েছে নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনকে।এ ছাড়াও মামলায় আসামি করা হয়েছে লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম হাওলাদার,পৌর মেয়র এমদাদুল ইসলাম তুহিনসহ ৩৫০ জনকে।
লালমোহন থানার ওসি মো. মাহবুবুর রহমান বলেন,লালমোহনের দুটি মামলায় সাবেক এমপি শাওন আসামি। এ ছাড়াও রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন থানায় তার নামে একাধিক মামলা হয়েছে।
দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু-অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ২২ আগস্ট দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংস্থাটির একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
শাওনের আয়কর রিটার্নের কপি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০১৪ সালে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় উল্লেখ করেন, তিনি ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ জমির মালিক, যার মূল্য ১ কোটি ২০ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। পাঁচ বছরের ব্যবধানে ২০১৮ সালে তার জমির পরিমাণ দেখানো হয় ৭৪০ শতাংশ, যার মূল্য দেখানো হয় ১১ কোটি ৫৩ লাখ ৮৯ হাজার ৪৬০ টাকা। ২০১৪ সালে ঢাকায় একটি বাড়ি ও একটি ফ্ল্যাট, লালমোহনে দুটি বাড়ি থাকার তথ্য দেন। যার মূল্য দেখান ২ কোটি ৭২ লাখ ৩৬ হাজার ৬০০ টাকা। ২০১৮ সালে ঢাকায় দুটি বাড়ি ও লালমোহনে দুটি বাড়ির কথা উল্লেখ করা হয়, যার মূল্য দেখানো হয় ১২ কোটি ৪ লাখ ২৮ হাজার টাকা। ওই সময় বছরে তার আয় ১৫ কোটি ৭২ লাখ ৭৫ হাজার ৩৯৬ এবং ব্যয় ৫ কোটি ৫৩ লাখ ২৬ হাজার ৮৬৭ টাকা বলে উল্লেখ করা হয়।
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে দাখিলকৃত হলফনামায় বলা হয়, বছরে আয় ১ কোটি ৫০ লাখ ৪৭ হাজার এবং ব্যয় ৩ কোটি ১৯ লাখ ৯৮ হাজার ৪৪৫ টাকা। তার ব্যবসার মূলধন,গাড়ি, স্বর্ণালংকার ও ব্যাংকে জমা মোট ৩৩ কোটি ৫৫ হাজার ৭৩২ টাকা। অভিযোগের বিষয়ে নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের নিকট জানতে তার ব্যক্তিগত ফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
আত্মসমর্পণের নির্দেশ-রাজধানীর মালিবাগ মোড়ে ২০০১ সালে বিএনপির মিছিলে গুলি করে চারজনকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. এইচবিএম ইকবাল ও নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনসহ ১৫ জনের অব্যাহতির আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে অবিলম্বে তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত ৬ নভেম্বর এই আদেশ দেওয়া হয়।
মামলার বাদী তৎকালীন খিলগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি ইউনুস মৃধার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
বাদীর আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম বলেন,বিএনপির মিছিলে গুলি করে হত্যার ঘটনায় পুলিশ ও ভিকটিম ইউনুস মৃধা পৃথক মামলা করেছিলেন। দুই মামলায় চার্জশিট দেওয়ার পর মামলা দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন থাকাবস্থায় ১৫ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তবে বাকিদের বিরুদ্ধে মামলা চলমান আছে। তিনি বলেন, ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর মামলার বাদী ইউনুস মৃধা হাইকোর্টে ২০১০ সালের দুটি আদেশ (১৫ জনকে অব্যাহতি) চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেন। হাইকোর্ট দুটি আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত করে রুল জারি করেছেন।
লালমোহন উপজেলা সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সভাপতি সোহেল আজিজ শাহিন বলেন,সাবেক সংসদ সদস্য শাওন দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা কামিয়েছেন। শাওনের অনিয়ম-দুর্নীতি আর অপরাধের শেষ নেই। সুষ্ঠু তদন্ত করে তাকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
অভিযোগের বিষয়ে নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের নিকট জানতে তার ব্যক্তিগত ফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, ৫ আগস্টের পর দেশের বাইরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত পারেননি শাওন,পরিবারসহ দেশেই আত্মগোপনে আছেন চেলা-চামুন্ডারাও চলে গেছে আত্মগোপনে। ভোলার সাধারন মানুষের দাবি শাওন যেনো আর এলাকঅয আধিপত্য বিস্তার না করতে পাওে ¦ং তার অবৈদ সম্পদগুলো সরকারের কোষাঘাওে অধিনে বাজেয়াপ্ত করা হোক। 
 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!