মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল, ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১

এসএসএফের সাবেক ডিজির ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, অবরুদ্ধ ৩৪ ব্যাংক হিসাব

ডেইলি খবর ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ৬, ২০২৫, ০৫:৩৬ পিএম

এসএসএফের সাবেক ডিজির ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, অবরুদ্ধ ৩৪ ব্যাংক হিসাব

এসএসএফ) সাবেক ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. মুজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী তাসরিন মুজিবের নামে থাকা ফ্ল্যাটসহ ৭৯ শতক জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।একই সঙ্গে তাদের নামে থাকা ৩৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এসব হিসাবে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৯৯ হাজার ২০০ টাকা রয়েছে। রোববার ৬ মার্চ  ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
জব্দ হওয়া সম্পদগুলোর মধ্যে মুজিবুর রহমানের নিজ নামে থাকা মিরপুরের মাটিকাটায় ৪ হাজার ৫০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট, ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় থাকা আরও একটি ফ্ল্যাট ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে থাকা একটি প্লটসহ ভবন রয়েছে। এছাড়াও খিলক্ষেত, মিরপুর, সাভার ও ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ১১টি দলিলে থাকা ৪২ দশমিক ৩০ কাঠা জমি জব্দ করা হয়েছে।
স্ত্রীর নামে থাকা ঢাকার ক্যান্টনমেন্টের সাহারা এলাকায় একটি ফ্ল্যাট, ঢাকার ক্যান্টনমেন্টের বাউনিয়া এলাকায় ৭ দলিলের জমি রয়েছে। অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাবের মধ্যে মুজিবুর রহমানের ২৪ ও তার স্ত্রীর ১০টি রয়েছে।
এদিন দুদকের পক্ষে উপপরিচালক মো. সিরাজুল হক জব্দ ও অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন। 
আবেদনে বলা হয়েছে,মুজিবুর রহমান সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা আত্মসাত করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রাখার অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। তিনি পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে অপরাধমূলক অসদাচরণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসাধু উপায়ে নিজ ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নামে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের মালিকানা অর্জন করে দখলে রাখা এবং বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে বিপুল পরিমাণ টাকা জমা ও উত্তোলনের মাধ্যমে সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিলন্ডারিংয়ে সম্পৃক্ত অপরাধ ‘দুর্নীতি ও ঘুস’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার জন্য তা রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করার অভিযোগ রয়েছে। তিনি অবৈধ পন্থায় অর্জিত সম্পদ অন্যত্র বিক্রয়/হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টায় রয়েছেন। এ কারণে তার নিজ, তার স্ত্রী ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের নামীয় বিভিন্ন স্থাবর সম্পদ ক্রোক  ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন। তাদের স্থাবর সম্পদ ক্রোক ও ব্যাংক হিসাবসমূহ অবরুদ্ধ করা না গেলে বিচারকালে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না। এতে রাষ্ট্রের অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।দুর্নীতি বিরোধী সংগঠনের একাধিক সংগঠক বলেন স্বৈরাচারের পাহাদার এই এসএসএফের সাবেক ডিজির অবৈধ সব সম্পদ রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অধীনে বাজেয়াপ্ত করা হোক।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!