রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশের সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ সাইফুল ইসলাম দুই পক্ষের যুক্তি-তর্ক শুনে জামিন নামঞ্জুর করেন।বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানিতে অংশ নিতে সুপ্রিম কোর্টের ১১ আইনজীবীর একটি দল চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে প্রবেশ করেন।
এদিকে এরআগে শুনানিকে কেন্দ্র করে আদালত এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। যেসব বিচারপ্রার্থী আদালতে আসছেন তাদের কাগজপত্র দেখে প্রবশ করতে দেয়া হচ্ছে। আদালতের দুটি ঢোকা ও বেরোনোর পথে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, বিজিবি ও সেনাসদস্যের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও রয়েছে পুলিশ।
নিরাপত্তার বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) এএএম হুমায়ুন কবির বলেন, আইনজীবী যারা এসেছেন, তাদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই বাড়তি সতর্কতা নেয়া হয়েছে।গত ২৫ নভেম্বর চট্টগ্রামে ফেরার পথে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন তাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাছে হস্তান্তর করা হলে কোতোয়ালী থানায় হওয়া একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়।
ওইদিন আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় প্রিজনভ্যান আটকে চিন্ময়ের অনুসারীরা বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সময় তারা প্রায় তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদেরকে সরিয়ে দিতে টিয়ারেশল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়লে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। পরে চট্টগ্রাম আদালত ভবনে প্রবেশপথের বিপরীতে রঙ্গম সিনেমা হল গলিতে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে নৃশসংসভাবে হত্যা করা হয়।
গত ১২ ডিসেম্বর চিন্ময়ের পক্ষে আগাম শুনানির জন্য উচ্চ আদালত থেকে ওকালতনামা স্বাক্ষর করে নিয়ে এসেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ। কিন্তু চট্টগ্রাম বারের আইনজীবীর ওকালতনামা দিয়েই মামলায় লড়তে হবে-এমনটাই জানিয়েছেন আদালত। পরপর তিনবার এজলাস বসলেও স্থানীয় বারের কোনো আইনজীবী ওকালতনামা দেননি। ফলে,রবীন্দ্র ঘোষের আবেদন নথিভুক্ত করে আবারো ২ জানুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত।
আপনার মতামত লিখুন :