বিতাড়িত ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের মৃনালকান্তি দাসের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। তার বিরুদ্ধে ১ কোটি ৫৫ লাখ ১৭ হাজার ২৩০ টাকা ও এক কোটি ৪৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক এমপি মৃণাল কান্তি দাস ও তার স্ত্রী নীলিমা দাসের বিরুদ্ধে পৃথক এ মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন মামলার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান। নীলিমা দাসের মামলায় স্বামী মৃণাল কান্তি দাসকেও আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা, এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রথম মামলায় আসামি মৃণাল কান্তি দাসের জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ৫৫ লাখ ১৭ হাজার ২৩০ টাকার সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া ২০১৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে তার আটটি ব্যাংক হিসাবে এক কোটি ২২ লাখ টাকা জমা এবং এক কোটি ১৮ লাখ টাকা উত্তোলনসহ মোট দুই কোটি ৪০ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
দুর্নীতি ও ঘুসের মাধ্যমে অর্জিত অর্থের অবৈধ উৎস গোপন করতে তিনি এসব সম্পদ রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করে অপরাধ করেছেন। মামলাটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শাহজাহান মিরাজ।
দ্বিতীয় মামলায় আসামি নীলিমা দাস তার স্বামীর সহায়তায় জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ৪৫ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া ২০১৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে তার ৩০টি ব্যাংক হিসাবে আট কোটি ১২ লাখ টাকা জমা এবং আট কোটি ছয় লাখ টাকা উত্তোলনসহ মোট ১৬ কোটি ১৯ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। দুর্নীতি ও ঘুসের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থের অবৈধ উৎস গোপন করতে তিনি এ সম্পদ রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করেছেন বলে দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে। সুত্র জানায় মৃণালকান্তি দাসের রাজনীতিই তার অর্থনীতির মুল চাবিকাঠি।
আপনার মতামত লিখুন :