সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২

শেখ হাসিনার পরিবারসহ ১১ শিল্প গোষ্ঠীর পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে চলছে শেষ পর্যায়ের মূল্যায়ন

আইন-অপরাধ ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৭, ২০২৫, ০৩:২৩ পিএম

শেখ হাসিনার পরিবারসহ ১১ শিল্প গোষ্ঠীর পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে চলছে শেষ পর্যায়ের মূল্যায়ন

শেখ হাসিনা পরিবারসহ দেশের ১১ শিল্প গোষ্ঠীর পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পদের মূল্যায়ন রয়েছে শেষ পর্যায়ে। এমন তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর আদালতে মামলা করতে আগামী মাসে আন্তর্জাতিক আইনি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিবে সরকার। তবে তাড়াহুড়ো না করে সতর্কতার সঙ্গে তদন্তের পরামর্শ বিশ্লেষকদের।
অর্থ পাচার ও লুট করে দেশকে ফোকলা করে দেয়ার ক্ষেত্রে কয়েক ধাপ এগিয়ে ছিলো শেখ হাসিনা পরিবার ও তার সহযোগী কয়েকটি শিল্প গোষ্ঠী। এই তালিকায় সামনের কাতারে ছিলো এস আলম, বেক্সিমকো, নাবিল, সামিট, ওরিয়ন, জেমকন, নাসা, বসুন্ধরা, সিকদার ও আরামিট গ্রæপ। দেশ থেকে বেহাত হওয়া অর্থের প্রায় পুরোটাই পাচার হয়েছে, এই শিল্প গ্রæপগুলোর হাত ধরে।
রাঘোব-বোয়ালদের অর্থ ফেরত আনতে সিআইডি, এনবিআর ও দুদকের সমন্বয়ে গঠন করা হয় ১১টি টিম। যাদের নেতৃত্বে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা-বিএফআইইউ। সংস্থাটি বলছে, হাসিনা পরিবার ছাড়াও ১০ শিল্প গ্রæপের সম্পদের সার্বিক মূল্যায়নের কাজ প্রায় শেষের দিকে। পাচার হওয়া টাকার গন্তব্য দেশের আদালতে মামলা করতে আগামী মাসে নিয়োগ দেয়া হবে আন্তর্জাতিক আইনি প্রতিষ্ঠান।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, মামলা দায়ের করার উদ্দেশে বিজড়িত অর্থ এবং বিজড়িত সম্পদের পরিমাণ কতো সেটার মূল্যমান স্থির করার কাজ চলছে, সেটা স্থির করার পরেই তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার হোক বা অবৈধ সম্পদ অর্জন করা হোক এ দুইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
এদিকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে কাজ করছে গভর্নরের নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্সও। এ বিষয়ে এপর্যন্ত টাস্কফোর্সের ৭টি সভা হয় । জানানো হয়, হাসিনা পরিবার ও ১০টি শিল্প গ্রæপের প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকার শেয়ার ও ব্যাংকে থাকা ৪ হাজার কোটি টাকা জব্দ করেছে আদালত। তবে দেশের বাইরে চলে যাওয়া অর্থ ফেরত ততটা সহজ হবে না বলে মনে করছেন এই বিশ্লেষক।
বিআইবিএমের সাবেক মহাপরিচালক ড.তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, জনপ্রিয়তা অর্জনের বা লোক দেখানোর জন্য তাড়াতাড়ি কিছু একটা করে ফেললাম তা যেন না হয়, টাকা বা সম্পদগুলো যেন আদায় হয় সেজন্য মামলাগুলো পরিপূর্ণ তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মামলার বাইরেও সমঝোতার মাধ্যমে পাচার করা অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ থাকা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।ছবি-সংগৃহীত

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!