মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১

আক্রান্ত হলে ছাড় নয়-ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২৪, ০৩:৩৩ পিএম

আক্রান্ত হলে ছাড় নয়-ওবায়দুল কাদের


মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সঙ্কটের কারণে বাংলাদেশ আক্রান্ত হলে ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ১৫ জুন শনিমবার দুপুর রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।   
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অরও বলেন, আমরা আক্রান্ত হলে ছেড়ে দেবো না। আমরা আক্রমণ করবো না। তবে আমাদের প্রস্তুতি আছে। তিনি বলেন, প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমারে অভ্যন্তরীন সংঘাত আছে। সে জন্য আমরা যদি সাফার করি সেটা দুঃখজনক। যতক্ষণ কথা বলা যাবে আলাপ-আলোচনা করা যাবে সেভাবেই সমস্যার সমাধান করতে চাই। যুদ্ধের উস্কানি দেবো না। আক্রান্ত হলে সেটার জবাব অবশ্যই দেবো। আমরা প্রস্তুত। আক্রান্ত হলে ছেড়ে দেবো না। ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর মিয়ানমারের পার্লামেন্টারি নির্বাচনে অং সান সুচির ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ৪১২ আসনের মধ্যে ৩৪৬টিতে জয় পায়। কিন্তু অধিবেশন শুরু প্রাক্কালে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
২০২১ সালের পহেলা ফেব্রæয়ারি মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ক্ষমতা দখল করে। এরপর থেকে তাদের নিপীড়ন-নির্যাতন ও হামলায় অন্তত সাড়ে চার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। বন্দী করা হয়েছে ২৫ হাজার মানুষকে। জান্তার হামলায় মিয়ানমার জুড়ে অন্তত ৭৮ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে আরাকান আর্মিসহ দেশটির একাধিক বিদ্রোহী সংগঠন জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে। এর ফলে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।   
মিয়ানমারের রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দেশটির সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির মধ্যে গত ফেব্রæয়ারি মাস থেকে যুদ্ধ চলছে। যার আঁচ লেগেছে বাংলাদেশের সীমান্তের গ্রামগুলোতে। 
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের জেরে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে নৌ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
গত বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মিয়ানমারের সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপ অংশে মর্টারশেল ও গুলির শব্দ শুনেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেন্টমার্টিন থেকে বঙ্গোপসাগরের অদূরে মিয়ানমার অংশে বড় জাহাজকে যুদ্ধজাহাজ ভেবে ভয়ও পাচ্ছেন তারা। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না, রোহিঙ্গার স্রোতে মানবিক হয়ে পিএম সীমান্ত খুলে দিয়েছিলেন। রোহিঙ্গা সমস্যা আমাদের ওপর জেঁকে বসেছে। রোহিঙ্গাদের জন্য সাহায্যের পরিমাণ অনেক কমে গেছে। অর্থনৈতিক সঙ্কটে আমরাই এখন সঙ্কটে, সেখানে এই বোঝাটা বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে। বড় দেশগুলো যারা এ সঙ্কট নিয়ে কথা বলে লিপ সার্ভিসের দরকার নেই বোঝাটা সরিয়ে নেয়া দরকার। জাতিসংঘ নখদন্তহীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। তাদের কথা ইসরাইল শোনে না। বড় বড় দেশগুলো শোনে না। ওবায়িদুল কাদের বিএনপির উদ্দেশে বলেন, যে কোন সময় সরকারের পতন হবে এটা তাদের দিবাস্বপ্ন। সরকার পরিবর্তনের মাধ্যম হলো নির্বাচন। জনগণের ভোটে সরকার পরিবর্তন ঘটে। এখন বিষয় হলো গণঅভ্যুত্থান। তাদের নেতাকর্মীরাই এখন আন্দোলনের মানসিকতায় নেই। জনগণ না থাকলে গণঅভ্যুত্থান হয় না। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাসসহ অন্যরা।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!