আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন,আপনারা আন্দোলন করবেন করেন, কিন্তু সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে নয়। গতকাল আমি শুনেছি ট্রেনে ঢিল মেরে নারী, শিশুদের আহত করা হয়েছে। এটা কী ধরনের আন্দোলন। কোথাও দাঁড়িয়ে বলে দেবেন একটি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় বানিয়ে দেন, মন চাইলে এইচএসসি পরীক্ষা দেবেন না,আমার রেজাল্ট বদলায় দিতে হবে এটা কী ধরনের আন্দোলন?’
মঙ্গলবার(১৯ নভেম্বর)দুপুরে সচিবালয়ে আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের ১০০ দিনে গৃহীত কার্যক্রম ও ‘অন্তর্র্বতী সরকারের ১০০ দিন: আইন মন্ত্রণালয়ের কৈফিয়ত’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশে বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলন চলছে এগুলো নিয়ন্ত্রণে আপনাদের কী উদ্যোগ আছে- এমন প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘যে কেউ ভিন্ন মত পোষণ করতে পারে এভাবে রাস্ত বøক করে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলা, জিম্মি করা, অসহনীয় ট্রাফিক জ্যাম সৃষ্টি করা, আন্দোলরকারীরা যদি এসব অব্যাহত রাখে তাহলে আমি মনে করি সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তোলা উচিত।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘এখন আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিলে সবাই সমালোচনা শুরু করবেন। পুলিশ কেন ব্যবস্থা নিলো, আগের পুলিশ কিনা। এ ধরনের বিষয় ম্যানেজ করা খুবই টাফ। তবে আমার মনে হয় সাধারণ জনগণ এ ধরনের হয়রানিমূলক, জিম্মি করা আন্দোলনের বিপক্ষে সাধারণ জনমত অত্যন্ত শক্তিশালী হচ্ছে।’
অন্যার্য আন্দোলনের বিপক্ষে রাষ্ট্র কেন শক্ত অবস্থানে যাচ্ছে না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,রাষ্ট্র যদি শক্ত হয়,দুই একজন যদি আহত হয়, গ্রেপ্তার হয় তাহলে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের কষ্ট তৈরি হবে। যে আপনারা বিগত সরকারের মতো দমন নীতিতে যাচ্ছেন কিনা? সে বিষয়টি আমাতের মাথায় রাখতে হয়। আমরা যেহেতু গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা নিয়েছি, এখানে অনেক চিন্তা করতে হয়। সাধারণ মানুষের কষ্ট হবে কিনা সেটা দেখতে হয়।’
একে করে সরকারের দুর্বলতা প্রকাশ পাচ্ছে কিনা,পেয়ে বসছে কিনা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও অসহায়ত্ব বোধ করছে এ বিষয়ে কী কোনো ব্যবস্থা নেবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন,‘কিছুটাতো পেয়ে বসছে, আপনারা যে এ ধরনের প্রশ্ন করছেন যখন সবার মধ্যে এই বোধ জাগ্রত হবে আমরা বেশি ভালোবাসা দিচ্ছি। তখন আমাদের শক্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। আমরা শক্ত হলে ভালোভাবেই হবো।’
আপনার মতামত লিখুন :