বাংলাদেশ সচিবালয়ে রহস্যজনক আগুনের ঘটনায় দেশের সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় (কেপিআই) নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ অবস্থায় সব কেপিআইয়ের সিকিউরিটি আগের চেয়ে জোরদার করা হয়েছে। বর্তমানে সারাদেশে ৫৮৭টি কেপিআই রয়েছে। যার মধ্যে সচিবালয় ছাড়া রয়েছে বঙ্গভবন,গণভবন,প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জাতীয় সংসদ, বিমানবন্দর, বিটিভি ও কারাগার।
মূলত একটি দেশের কেপিআইয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর সামগ্রিক জাতীয় নিরাপত্তা অনেকাংশে নির্ভরশীল। নতুন করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব মো. গোলাম মোছাদ্দেক বলেন, সচিবালয়ের ঘটনার পর আমরা মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি। শেরেবাংলা থানার সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের একটি টিম আলাদাভাবে টহল দেবে। আগে দুই গেটে পুলিশ থাকলেও সেটা বাড়াতে বলেছি।
একইভাবে নিজেদের মনিটরিং বাড়িয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ প্রসঙ্গে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, এনবিআর ভবনের পুরোটাই সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে মনিটর করা হয়। সাধারণত, এখানে কোনো দুর্ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করলে তা সফল হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে,তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক আছে। কারণ, নিরাপত্তা কমিটি নিয়মিত সব নিরাপত্তা সরঞ্জাম পর্যবেক্ষণ করে। তারা সবসময় সক্রিয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
কেপিআইয়ের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়, নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি তদারকি বাড়াতে হবে। যেসব কেপিআইয়ের সীমানা নির্ধারণ করা নেই, সেগুলোর তা করে দ্রæত প্রাচীর দিতে হবে।আগের দেয়া যেসব সুপারিশ বাস্তবায়ন হয়নি সেগুলো ত্বরিত করতে হবে।
১৯৯৭ সালে ইংরেজিতে প্রণীত কেপিআইয়ের নিরাপত্তা বিষয়ক নীতিমালাটি বাংলায় হালনাগাদ করা হয়। এটি কেপিআই নিরাপত্তা নীতিমালা ২০১৩ নামে পরিচিত। নিরাপওা বাহিনীর সতর্ক অবস্থানে সবখানে।
আপনার মতামত লিখুন :