শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বাণী দিয়েছেন

ডেইলি খবর ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪, ০৬:৪৮ পিএম

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বাণী দিয়েছেন

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আগেরদিন শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিনের শোষণ, বঞ্চনা আর বৈষম্যের বিরুদ্ধে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে বাঙালি জাতি ধীরে ধীরে মুক্তি সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হয়। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে গোটা জাতি মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ছিনিয়ে আনে চূড়ান্ত বিজয়।শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের বুদ্ধিজীবীরা তাদের মেধা ও প্রজ্ঞার প্রয়োগ, শিল্প-সাহিত্যের চর্চা ও ক্ষুরধার লেখনির মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরি এবং যুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারকে বুদ্ধিবৃত্তিক ও কৌশলগত পরামর্শ দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিতে অসামান্য অবদান রাখেন। স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্র তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে জাতিকে মেধাশূন্য করার হীন উদ্দেশ্যে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর ঢাকাসহ সারাদেশে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায় বলেও লেখা হয় বাণীতে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বস্তুত ২৫ মার্চ কালরাত থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময়জুড়েই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়। তবে বিজয়ের প্রাক্কালে ১৪ ডিসেম্বর এ হত্যাযজ্ঞ ভয়াবহ রূপ নেয়। দেশের খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবীদের নির্মম হত্যাকান্ডকে জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি উল্লেখ করে সাহাবুদ্দিন বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রেখে যাওয়া আদর্শ ও পথকে অনুসরণ করে একটি অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক সুখী-সমৃদ্ধ এবং বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারলেই তাঁদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে বলে আমি মনে করি।
এদিকে,  প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আমি সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির যে কোনো চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা এই পরিকল্পিত নৃশংস হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের জঘন্যতম প্রতিশোধ নেয়। বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিনগুলোয় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসররা পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে বলেও উল্লেখ করা হয় বাণীতে।।
ইউনূস বলেন, বাঙালি জাতির বিজয়ের প্রাক্কালে স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশের শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী,প্রকৌশলী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদসহ দেশের মেধাবী সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা ও গুম করে। তাদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, মুনীর চৌধুরী, আনোয়ার পাশা,শহীদুল্লাহ কায়সার, গিয়াসউদ্দিন,ডা. ফজলে রাব্বি,আবদুল আলীম চৌধুরী, সিরাজউদ্দীন হোসেন,সেলিনা পারভীন,ড.জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতাসহ আরো অনেকে। ‘ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্র্বতী সরকার একটি উন্নত, সমৃদ্ধ এবং সুশাসিত বাংলাদেশ গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ’ বলেও বাণীতে তুলে ধরেন অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান।

 

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!