শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১

শেখ হাসিনাসহ যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চায় প্রসিকিউশন

আইন-অপরাধ ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২৪, ১১:২৮ এএম

শেখ হাসিনাসহ যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চায় প্রসিকিউশন

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গণহত্যার মামলার বিচারকাজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ট্রাইব্যুনালে আসেন বিচারকরা। বিচারের অংশ হিসেবে গণহত্যা ঘিরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাইবে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম। সেইসঙ্গে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদেরও ট্রাইব্যুনালে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
সূত্র জানায়, শেখ হাসিনা ছাড়া যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়া হতে পারে তারা হলেন-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী এ আরাফাত এবং পুলিশের পলাতক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ট্রাইব্যুনালে ইতোমধ্যে ৪৫টি এবং তদন্ত সংস্থায় ১৬টি অভিযোগ জমা পড়েছে, ফলে মোট ৬১টি অভিযোগ উঠেছে। 
এসব অভিযোগের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগ নেতা, সাবেক মন্ত্রী, এমপি এবং পুলিশের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ রয়েছে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, যিনি ইতোমধ্যে দেশত্যাগ করেছেন। এছাড়া, অন্য অভিযুক্তদের একটি বড় অংশও দেশত্যাগ করেছে বলে বিভিন্ন সূত্রে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
এর আগে গত ১৩ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রিিকউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম শেখ হাসিনাসহ পলাতক অন্যদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেয়ার কথা জানিয়েছিলেন। সেদিন গণমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছিলেন, বিচারক নিয়োগ হলে চলতি সপ্তাহেই জুলাই গণহত্যার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন হবে।গত ১৪ অক্টোবর হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারকে চেয়ারম্যান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। যেখানে ট্রাইব্যুনালের দুইজন সদস্যও রয়েছেন। তারা হলেন- হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
তারও আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এছাড়া প্রসিকিউশন টিমের অপর পাঁচ প্রসিকিউটররা হলেন-মো.মিজানুল ইসলাম, গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদ, আবদুল্লাহ আল নোমান ও মো. সাইমুম রেজা তালুকদার।এদিকে ১০ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্্্Í সংস্থা পুনর্গঠন করা হয়েছে। যেখানে তদন্ত সংস্থার কোঅর্ডিনেটর পদে মো. মাজহারুল হককে (অ্যাডিশনাল ডিআইজি,অবসরপ্রাপ্ত)এবং কো-কোঅর্ডিনেটর পদে মুহাম্মদ শহিদুল্যাহ চৌধুরীকে (পুলিশ সুপার, অবসরপ্রাপ্ত) নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া তদন্ত সংস্থার অপর কর্মকর্তারা হলেন- মো. আলমগীর (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, অ্যান্টিটেররিজম ইউনিট ঢাকা), মোহা. মনিরুল ইসলাম (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, পিবিআই হেডকোয়ার্টার্স), মো. জানে আলম (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, ঢাকা), সৈয়দ আবদুর রউফ (সহকারী পুলিশ সুপার, ট্র্যাফিক অ্যান্ড ড্রাইভিং স্কুল, ঢাকা), মো. ইউনুছ (পুলিশ পরিদর্শক-নিরস্ত্র, সিআইডি), মো. মাসুদ পারভেজ (পুলিশ পরিদর্শক-নিরস্ত্র, চারঘাট মডেল থানা, রাজশাহী), মুহাম্মদ আলমগীর সরকার (পুলিশ পরিদর্শক-নিরস্ত্র, আরআরএফ-ঢাকা) ও মো. মশিউর রহমান (পুলিশ পরিদর্শক-নিরস্ত্র, সিআইডি, ঢাকা মেট্রো-উত্তর)।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!