শুক্রবার, ০৭ মার্চ, ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১

জুলাই গণহত্যার মামলা আইসিসিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত শিগগিরই: প্রধান উপদেষ্টা

ডেইলি খবর ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৫, ১২:০৩ এএম

জুলাই গণহত্যার মামলা আইসিসিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত শিগগিরই: প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই গণহত্যার মামলাগুলো নেদারলান্ডসের দ্য হ্যাগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) পাঠানো হবে কি না, বাংলাদেশ সরকার শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাত করেন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটরের বিশেষ উপদেষ্টা টবি ক্যাডম্যান।
সাক্ষাতে জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার মামলাগুলো আইসিসিতে পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি জন্য আহ্বান জানান বসনিয়া, কসোভো, রুয়ান্ডা, ইয়েমেন, সিরিয়া এবং ইউক্রেনে কাজ করা আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ ক্যাডম্যান।
জবাবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন,‘যেহেতু জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন গত মাসে জানিয়েছিল যে, অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। তাই বাংলাদেশ শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবে যে, তারা জুলাইয়ের নৃশংসতার বিষয়টি আইসিসিতে পাঠাবে কি না।’সাক্ষাৎকালে হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে ঢাকা কীভাবে সম্পৃক্ত করবে,সে বিষয়টিও সামনে আনা হয় এবং বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
সাক্ষাতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার সম্ভাবনা এবং বাংলাদেশের ন্যায়বিচার অন্বেষণে আদালতের ভূমিকা ও দায়িত্ব নিয়েও আলোচনা হয়। এসময় বলা হয়, কিছু পলাতক অভিযুক্তকে বিদেশি রাষ্ট্র দ্বারা রক্ষা করার কারণে,পরিপূরক নীতির অধীনে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সঙ্গে সহযোগিতা প্রয়োজন এবং যাতে অপরাধীদের পুরোপুরি জবাবদিহির আওতায় আনা যায়, তা নিশ্চিত করার জন্য দুটি প্রতিষ্ঠানের একসঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করা উচিত।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ বিশেষজ্ঞ টবি বলেন, বাংলাদেশের কিছু লোক গণহত্যা চালিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছে এদের বিচার করতে হলে আন্তর্জাতিক সাহায্য দরকার এজন্য তিনি আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।ড. ইউনূস আইসিটি প্রসিকিউশন টিমের কাজের প্রশংসা করে বলেন, সুষ্ঠু বিচার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে তাদের অবশ্যই সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক মান সমুন্নত রাখতে হবে।
এসময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস ক্যাডম্যানকে ‘আর্ট অব ট্রায়াম্ফ: গ্রাফিতি অব বাংলাদেশ’স নিউ ডন’ বইয়ের একটি কপি উপহার দেন, যা নতুন যুগে বাংলাদেশি জনগণের আশা এবং স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!