মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২

বিড়ালসহ বিপন্ন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সচেতনতামূলক ভ্যানের উদ্বোধন করলেন পরিবেশ উপদেষ্টা

ডেইলি খবর ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২২, ২০২৫, ০৭:৪৭ পিএম

বিড়ালসহ বিপন্ন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সচেতনতামূলক ভ্যানের উদ্বোধন করলেন পরিবেশ উপদেষ্টা

মেছো বিড়ালসহ বিপন্ন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সচেতনতা বাড়াতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে চালু হয়েছে বিশেষ ভ্যান। এই ভ্যান ঘুরবে দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলা। জানাবে বন্যপ্রাণী রক্ষার কথা। সচেতন করবে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে।আজ যশোরে এই সচেতনতামূলক ভ্যানের উদ্বোধন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, যশোর সামাজিক বন বিভাগের সংরক্ষক, বন বিভাগের কর্মকর্তা,পরিবেশ সংগঠনের প্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।উপদেষ্টা বলেন,প্রাণীর প্রতি আমাদের সহানুভূতিশীল হতে হবে। মেছো বিড়ালসহ সব বন্যপ্রাণী রক্ষায় সচেতনতা জরুরি। প্রাণীদের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে তাদের বাঁচাতে হবে। তিনি বলেন, অনেকে ভ্রান্ত ধারণা থেকে মেছো বিড়ালকে মেরে ফেলেন। অথচ এরা ক্ষতি করে না। বরং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকা রাখে।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল, বিশেষ করে গঙ্গা-প্লাবিত এলাকা জীববৈচিত্র্যে ভরপুর। কিন্তু এই এলাকায় প্রাণী সংরক্ষণের উদ্যোগ ছিল কম। এখানে আছে মেছো বিড়াল,ধূসর হনুমান, খেকশিয়াল, মদনটাক, ঈগল, মানিকজোড়সহ নানা বিরল প্রাণী। পদ্মা ও তার শাখা নদীতে দেখা যায় বিপন্ন ঘড়িয়াল ও বিলুপ্তপ্রায় কুমিরও।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, এই এলাকায় আছে ২৬০ প্রজাতির পাখি। যা দেশের মোট পাখির ৪০ শতাংশের বেশি। কিন্তু যথাযথ সংরক্ষণ না থাকায়, ও বাসস্থান ধ্বংসের ফলে বন্যপ্রাণী আজ হুমকিতে। মানুষের বসতির কাছে চলে আসায় প্রাণীদের সঙ্গে দ্বন্ধও বাড়ছে। এতে প্রাণ হারাচ্ছে অনেক বন্যপ্রাণী। মেছো বিড়াল তার একটি দৃষ্টান্ত। যশোর-ফরিদপুর এলাকায় এর মৃত্যু হতো নিয়মিত।এই বিষয়টি বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নজরে আসার পর দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে শুরু হয়েছে নানা উদ্যোগ। এবছর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে পালন করা হয়েছে বিশ্ব মেছো বিড়াল দিবস। মেছো বিড়ালসহ সকল প্রাণী রক্ষায় এই সচেতনতামূলক ভ্যান কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!