বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১

দুয়েকদিনের মধ্যেই ইসি গঠনে সার্চ কমিটি কবে- প্রেস সচিব

ডেইলি খবর ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২৪, ০৯:৪৬ পিএম

দুয়েকদিনের মধ্যেই ইসি গঠনে সার্চ কমিটি কবে- প্রেস সচিব

নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি বা অনুসন্ধান কমিটির বিষয়ে আগামী দুয়েকদিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে। ইসি গঠনের সার্চ কমিটি বিষয়ে দুয়েকদিনের মধ্যেই প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বুধবার (৩০ অক্টোবর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
সার্চ কমিটির প্রজ্ঞাপন প্রসঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের বলেন,দু-একদিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন হবে। এরপর আপনারা এ বিষয়ে জানতে পারবেন।এরআগে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সার্চ কমিটির প্রধান হিসেবে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নাম মনোনীত করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। এছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানও মনোনীত হয়েছেন। 
জাতীয় সংসদে পাস হওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী সার্চ কমিটি (অনুসন্ধান কমিটি) গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। আপিল বিভাগের একজন বিচারকের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের এ অনুসন্ধান কমিটি গঠিত হয়। এতে সদস্য হিসেবে থাকেন প্রধান বিচারপতির মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান এবং রাষ্ট্রপতির মনোনীত দুজন বিশিষ্ট নাগরিক। এ দুই বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে একজন হবেন নারী। আইনে বর্ণিত যোগ্যতা-অযোগ্যতা বিবেচনা করে এই সার্চ কমিটি ১০ জনের নাম প্রস্তাব করবেন। ১০ জনের মধ্য থেকে ৫ জনকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি গঠন করবেন নতুন নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ৫ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেন প্রধান বিচারপতি কাজী হাবিবুল আউয়াল। তার সহযোগী অন্য কমিশনাররা হলেন- মো. আহসান হাবীব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান।
শুরু থেকেই আউয়াল কমিশন ঘিরে ছিল নানা বিতর্ক। সার্চ কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হলেও কমিশনাররা আওয়ামী লীগ সরকারের আস্থাভাজন ব্যক্তি বলে অভিযোগ ওঠে নানা সময়। কমিশনাররা নানা সময়ে বেফাঁস মন্তব্য করে হয়েছেন বিতর্কিত। সবশেষ ২০২৪-এর ডামি নির্বাচনের জন্যও এই কমিশনকে দায়ী মনে করেন পর্যবেক্ষকরা।
এই কমিশনের আমলে গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও বর্জন করে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল। শুধু আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্র দলগুলো ওই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। পাশাপাশি নির্বাচনে শেষ মুহূর্তে ভোটের হার অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করায় আস্থা হারায় এই কমিশন। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করে গেছে আউয়াল কমিশন।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!