আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামকে নিয়ে দেয়া বক্তব্য প্রত্যাহার করেছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি।স্ট্যাটাসে নুরুল হক নুর লেখেন,গত ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে আমার বক্তব্যের তথ্যে বিভ্রাটে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় আমার বক্তব্য প্রত্যাহার করছি। চিফ প্রসিকিউটরের সঙ্গে আলোচনায় বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ায় গণহত্যার ন্যায়বিচার নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমে আমাদের সমর্থন অব্যাহত থাকব।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাসুদ রানার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এদিন বিকেল ৫টার সময় নুরুল হক নুর এবং তার একদল সহযোগী ও বহিরাগত ব্যক্তি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে উসকানিমূলক ও মানহানিকর ¯েøাগান দিতে দিতে মিছিল নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মূল প্রবেশ গেট দিয়ে জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বাধার মুখে ঢুকতে না পেরে নুরুল হক নুর দলীয় কর্মীদের নিয়ে গেটে সংবাদ সম্মেলন করেন।
যেখানে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠকের ভিত্তিহীন, বানোয়াট, অসত্য ও উসকানিমূলক কিছু অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশ করেন নুরুল হক নুর। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার আনিত এসব মিথ্যা অভিযোগ ইলেকট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে যায়। তার এই বক্তব্যের ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের মর্যাদা ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নুরুল হক নুর এবং তার দলীয় কর্মীদের এমন বেআইনি কার্যকলাপ সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। তার এই হঠকারী কার্যক্রমে জুলাই-আগস্ট গণহত্যার ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারপ্রক্রিয়া প্রভাবিত ও বাধাগ্রস্থ করার শামিল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে নুরুল হক নুর এবং তার দলীয় কর্মীদের এই বেআইনি ও ষড়যন্ত্রমূলক কাজের তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে।
জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে অর্জিত নতুন এই বাংলাদেশে দুই সহস্রাধিক হত্যা এবং অর্ধলক্ষ ভাই-বোনের নির্যাতনের বিচার প্রক্রিয়ার জন্য পুনর্গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও চিফ প্রসিকিউটর সম্পর্কে ব্যক্তি স্বার্থে এমন কার্যক্রম অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য। এই ভিত্তিহীন,অসত্য ও দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্য প্রত্যাহারপূর্বক ক্ষমা না চাইলে নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :