শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের পতদ্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ

আইন-অপরাধ ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২৪, ০৭:৩০ পিএম

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের পতদ্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে হাইকোর্ট এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে আইনজীবী অধিকার পরিষদ।বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে এ বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। এ সময় আইনজীবী অধিকার পরিষদের নেতাদের সঙ্গে ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। বিক্ষোভ মিছিল শেষে আইনজীবী অধিকার পরিষদ নেতারা বলেন, নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে গণ অধিকার পরিষদ নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন কর হয়েছিল। পরবর্তীকালে বয়স্ক ও তরুণদের সংমিশ্রণে রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে রেজা কিবরিয়াকে আনা হয়। পরে একটি কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নুরুল হক নুর সভাপতি এবং রাশেদ খান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের সব তথ্য পূরণ করার পরও ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার আমাদের নিবন্ধন দেয়নি। তবে ৫ আগস্টের পর আমরা নির্বাচন কমিশনে গিয়ে নিবন্ধন পেয়েছি। কিন্তু কতিপয় দলছুট দুষ্কৃতকারী অবৈধভাবে একটা রিট পিটিশন দায়ের করে। আর তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।    
তারা বলেন,আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম অ্যাটর্নি জেনারেলের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন। কিন্তু তিনি এই সুযোগ-সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার জন্য দুষ্কৃতকারীদের রিটে শুনানি করার জন্য দাঁড়িয়েছেন। অথচ যেটা তার করার নিয়ম নেই। তাই তার পদত্যাগ দাবি করছি।
জানা যায়, কাউন্সিলের মাধ্যমে গণঅধিকার পরিষদে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হওয়া ও ড. রেজা কিবরিয়া দল থেকে অপসৃত হওয়ার কারণে একই নামে নিবন্ধন পাওয়ার জন্য তিনি হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। কিন্তু অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদা সম্পন্ন পদ ও দায়িত্বে থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাদের পক্ষ নিয়ে তাদের নিবন্ধন পাইয়ে দিতে আইনজীবী হিসেবে শুনানি করছেন।
আইনজীবী অধিকার পরিষদের ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খালিদ হোসেন বলেন,সরকারি পদে থেকে কোনোভাবে অন্য কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান বা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম কোনোভাবেই আইনজীবী হতে পারেন না। এটি নৈতিক স্খলনজনিত একটি অপরাধ। তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের আইনজীবী হিসেবে রিট শুনানি করতে হলে তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চিফ প্রসিকিউটরের পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গত ৫ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামকে চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়,অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদা ভোগ করবেন।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!