পদবঞ্চিত বলে ৭৬৪ কর্মকর্তাকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হচ্ছে ৭৫ কোটি টাকা,কিন্তু জুলাই হত্যাকান্ডের যাছাই-বাছাই আর উন্নত চিকিৎসা নিয়ে দু:খ গেলো না। জানা গেছে-সুবিধা অব্যাহত। ফ্যাসিবাদেও শাসনামলে চাকরি ছিল,বেতনও পেয়েছেন। শুধু পদোন্নতিটাই হযনি। তাতেইই এখন ক্ষতিপুরণ। ২০২৪ এর ৫ আগস্টের পর থেকেই বিভিন্ন মহলের দাবি দাওয়ার আবদারে ব্যতিব্যস্ত অন্তর্র্বতী সরকার। এরমধ্যে চাপে ফেলে সবচেে সুযোগ সুবিধা বাগিয়ে নিতে সবচেয়ে বেশী এগিয়ে নানামতবাদেও আমলারা। আওয়ামী লীগ আমলে পদবঞ্চিত ৭৬৪ জন কর্মকর্তাকে ক্ষতিপূরণ বাবদ দেয়া হলো ৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ। যার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এই পদবঞ্চিতদের অনেকেই বিভিন্ন বিভাগীয় মামলা ও চাকরিবিধি লঙ্ঘণের দায়ে অভিযুক্ত।
২০২৪ এর ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর দাবি আদায়ের মহোৎসব চলছে রাজপথ থেকে অফিস-আদালত সব খানেই। এই দৌড়ে সবার চেয়ে এগিয়ে আমলারা। তাদের চাওয়ার পূর্ণতা দিতে জোড়া-তালি দিয়ে চলা আর্থিক অবস্থার মধ্যেও উদারহস্ত অরাতর্র্বতী সরকার।
দেশের গণগুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়ে গতি না ফিরলেও নির্ধারিত তিনমাসের আগেই বিগত সরকারের আমলে পদবঞ্চিতদের পুনর্মূল্যায়নে প্রতিবেদন দিয়ে দেয় জনপ্রশাসনে মন্ত্রণালয়ের কমিটি। বলা হয়, ৭৬৪ জন কর্মকর্তা পাবেন ভূতাপেক্ষা পদোন্নতি। আর এবার তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য বরাদ্দ দেয়া হলো ৭৫ কোটি টাকা। এরই মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে অর্থ ছাড়ের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, আমলাতান্ত্রিকতার ওপর নির্ভরশীলতা আরও বেড়ে গেছে। আহতদের তালিকা করতে ৫ মাস পরেও যাচাই-বাছাইয়ের গল্প শুনছি। কিন্তু পদবঞ্চিত কর্মকর্তাদের তালিকা খুব দ্রæত বের হয়ে তারা তাদের সুযোগ-সুবিধা এই সরকারের থেকে আদায় করে ফেলেছে। এখন এই অসংগতিগুলো খুব জোড়ালোভাবে ঝুঁকে পড়ছে।
তথ্য বলছে,পদবঞ্চিত এসব কর্মকর্তার অনেকেই বিভাগীয় মামলা বা চাকরিবিধি লঙ্ঘণের দায়ে অভিযুক্ত। যা উপেক্ষিত থাকছে, এমন পদক্ষেপে। বিশ্লেষকরা বলছেন,সুশাসন নিশ্চিত করে জনস্বার্থে নিরপেক্ষ আচরণই কাম্য।
সাবেক সচিব আবদুল আউয়াল মজুমদার বলেন, প্রশাসন সংস্কারের নামে বাড়াবাড়ি হচ্ছে। এবং সবাই ভুল পথে আছে। এখন যারা প্রশাসন ক্যাডারে আছেন তারা অন্যদের সুবিধা দেখেন না। তাদের কাজগুলো করেন না।
২৮ থেকে ৪২ বিসিএসের ২৫৯ জন কর্মকর্তার নিয়োগ আটকে ছিল রাজনৈতিক ভিন্ন মত সমর্থন করার কারণে। পরবর্তীতে তাদের নিয়োগ দেয়া হলেও দেয়া হয়নি ভূতাপেক্ষা কোনো আর্থিক বা পদোন্নতিজনিত সুবিধা। প্রশাসনিক সুত্রগুলো জানায় প্রশাসনের পদবঞিতদের যতদ্রæত সহযোগীতা ও দাবি মেনে ক্ষতিপূরন দেওয়া হলো একই নতুন স্বাধীনতার আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছেন গুরুত্বও আহত হযেছেন তাদেরকেউ দ্রæত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান। এজন্য দাবি করা লাগবে কেনো। রাস্তায় আহতরা আন্দোলনে কেনো নামবে?
আপনার মতামত লিখুন :