নীতি-নৈতিকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগ ওঠা সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন বিচারপতির বিষয়ে তদন্তের জন্য সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলকে নির্দেশনা দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে অনুযায়ী সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল আগামী সপ্তাহে তদন্ত শুরু করবে।
সোমবার ৬ জানুয়ারী সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটের নিউজ আপডেটে এ সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া হয়েছে। তবে কতজন বিচারপতির বা কোন কোন বিচারপতির বিষয়ে রাষ্ট্রপতি তদন্তের নির্দেশনা দিয়েছেন, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তারা।
গুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা তথ্যে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৬ (৫) (বি) অনুসরণ করে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন বিচারপতির বিষয়ে তদন্তের জন্য সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের নিকট নির্দেশনা প্রেরণ করেছেন। সে অনুযায়ী সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল আগামী সপ্তাহে তদন্ত শুরু করবে।’
সুপ্রিম কোর্টের একাধিক সূত্র জানায়, ১২ জন বিচারপতির মধ্যে কয়েকজনের বিষয়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান ছিল। তাদের মধ্যেই কয়েকজনের বিষয়ে তথ্যাবলি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়েছিল সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। সেই বিচারপতিদের বিষয়েই তদন্তের নির্দেশনা দিয়ে থাকতে পারেন রাষ্ট্রপতি।এর আগে বিচারপতি অপসারণ সংক্রান্ত সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে কয়েকজন বিচারপতির আচরণবিষয়ক তথ্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়েছিল সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল। গত ১৫ ডিসেম্বর এমন তথ্য জানিয়েছিলে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। তার আগে গত ৪ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বর্তমানে বেশ কয়েকজন বিচারপতির আচরণের (কনডাক্ট) বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান চলছে। সে সময়েও নাম প্রকাশ করেনি সুপ্রিম কোর্ট।
গত ১৬ অক্টোবর ‘দলবাজ’ ও ‘দুর্নীতিবাজ’ বিচারপতিদের পদত্যাগ অথবা তাদের অপসারণের দাবিতে হাইকোর্ট ঘেরাও এবং বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভের মুখে হাইকোর্ট বিভাগের ১২ জন বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এরপর সুপ্রিম কোর্টেও প্রতিদিনের কার্যতালিকায় আর ওই বিচারপতিদের নাম দেখা যায়নি।
বিচার কাজের বাইরে থাকা ১২ বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান, বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ,বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার, বিচারপতি আশিষ রঞ্জন দাস, বিচারপতি খিজির হায়াত, বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান,বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন,বিচারপতি মো.আখতারুজ্জামান, বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলন।
আপনার মতামত লিখুন :