উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, বিগত সরকারের আমলে অহরহ গায়েবি মামলা হতো। কিন্তু ৫ আগস্টের পর সরকার কোনো মামলা করছে না। ৫ আগস্টের পর থেকে এখনো ঢালাওভাবে গায়েবি মামলা হচ্ছে,যা বর্তমান সরকারের জন্য বিব্রতকর। এ সংকট মোকাবিলায় করণীয় প্রসঙ্গে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের অংশীজনদের কাছে পরামর্শ চেয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করেন।
এ সময় বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে যুগোপযোগী করতে কাজ চলছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বিচার প্রশাসনে রাজনৈতিক্করণ ঠেকাতে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে যুগোপযোগী আইন প্রণয়নে অন্তর্র্বতী সরকার কাজ করছে। ২০০৮ সালে বিচারপতি নিয়োগে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হলেও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তা বাতিল করা হয় বলেও জানান তিনি।
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের কাজের প্রশংসা করে আইন উপদেষ্টা বলেন, অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন যেভাবে কাজ করছে তাতে সরকার আশাবাদী। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন যেভাবে কাজ করছে, তা বাস্তবায়ন করা হলে বিচার বিভাগে কোনো সমস্যা থাকবে না। পরবর্তী সময়ে নতুন আইনে প্রধান বিচারপতি ও হাইকোর্টের বিচারপতিদের নিয়োগ হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য ফরিদ আহমেদ শিবলী বলেন,দ্রæতই কমিশনের পক্ষ থেকে অন্তর্র্বতী সরকারকে একটি খসড়া প্রস্তাবনা দেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :