সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে সরকারের সিদ্ধান্তে। সুতরাং সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে সেনাবাহিনীর মাঠে কত দিন থাকা প্রয়োজন। সেনাবাহিনী তত দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নিয়ে মাঠে থাকবে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) নিয়মিত ব্রিফিং সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই কথা জানানো হয়েছে। এক ব্রিফিংয়ে সেনাসদরের স্টাফ কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান জানান,দু-একটি নেতিবাচক ঘটনা ছাড়া সেনাবাহিনীর পাশাপাশি অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তার কারণে পরিস্থিতি ভালো রয়েছে। সামনের দিনে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে বলেও জানান তিনি।
কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান জানান, দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সশস্ত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব পদবির অফিসারদের সরকার কর্তৃক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়,যা এখনো চলমান রয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা যাতে সুষ্ঠুভাবে এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রয়োগ করা হয়,তার জন্য সেনাবাহিনীর সব পর্যায়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই বিশেষ ক্ষমতার কার্যকরী প্রয়োগের কারণে ইতিমধ্যে বেশ কিছু সংকটপূর্ণ পরিস্থিতি যেমন চিহ্নিত অপরাধীদের গ্রেফতার,শিল্পাঞ্চলের বিশৃঙ্খলা,রাস্তা অবরোধ ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণসহ সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে,সেনাবাহিনী প্রধানের দিকনির্দেশনাকে অনুসরণ করে এ মুহূর্তে দেশের ৬২টি জেলায় সেনাসদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অন্তর্র্বতীকালীন সরকার, সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহ,আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী,স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন সংস্থা, গণমাধ্যম এবং স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছে। সামনের দিনগুলোতে এই সমন্বয় ও পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করে কর্মধারা অব্যাহত রাখতে সেনাবাহিনী অঙ্গীকারবদ্ধ।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি গত কয়েক মাসের তুলনায় স্থিতিশীল অবস্থায় এসেছে। এ সময় লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার, আসামি আটক, শিল্প বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর সফলতার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করবে সেনাবাহিনী। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সরকারের অন্য বাহিনীর সহায়তার প্রশংসাও করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশব্যাপী চলমান অভিযানে ৬ হাজারের বেশি অবৈধ অস্ত্র ও প্রায় ২ লাখ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এসব অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ২৫শর বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :