খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের জেরে রাতে জেলা সদরে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩ জন নিহত ও ৯ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রে রাখতে প্রশাসন থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার(২০ সেপ্টেম্বর)সকালে চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আহসান হাবিব এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন-জুনান চাকমা (২০),ধনঞ্জয় চাকমা (৫০) ও রুবেল (৩০)। জুনান চাকমা ও রুবেলের বাড়ি খাগড়াছড়ি সদরে এবং ধনঞ্জয় চাকমার বাড়ি দীঘিনালায়।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিপল বাপ্পী চাকমা বলেন, নিহতদের মধ্যে ২ জন গুলিবিদ্ধ ছিলেন। নিহতদের মরদেহ খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে রয়েছে। গুরুতর আহত চারজনকে চট্টগ্রামে রেফার করা হয়েছে। আহতদের কয়েকজন গুলিবিদ্ধ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে (আনুমানিক সাড়ে ১০টা) জেলা শহরের নারানখাইয়া, স্বনির্ভর এলাকায় ব্যাপক গুলির শব্দ শোনা যায়। এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে রাতে ১২ জনকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়। চারজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, পরিস্থিতি শান্ত করতে জেলাজুড়ে সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। তবে কাদের মধ্যে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে, তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেনি।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার মামুন নামে এক যুবককে চুরির অভিযোগে খাগড়াছড়ি সদরের পানখাইয়াপাড়া পিটিয়ে হত্যার ঘটনার বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে দীঘিনালায় বিক্ষোভ চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুর্বৃত্তরা ৮০টির মতো দোকান ও বসতবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর জেরে জেলার বিভিন্নস্থানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
আপনার মতামত লিখুন :