বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১

লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২৫, ০৯:৫৩ পিএম

লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া

লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। রাত পৌনে ১২টায় তিনি ঢাকা ছাড়েন। এরআগে রাত সাড়ে ১১টার মধ্যে বেগম জিয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে উঠেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনের উদ্দেশে রাজধানীর গুলশানের নিজ বাসভবন থেকে রওয়ানা হয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দওে এসে পৌঁছেছেন বিএনপির চেয়ারপরসন বেগম খালেদা জিয়া।
এর আগে রাত সোয়া ৮টার দিকে গুলশানে নিজের বাসভবন ফিরোজা থেকে সাদা একটি গাড়িতে রওনা দেন খালেদা জিয়া। তবে নেতাকর্মীদের ঢলে তার বাসভবন থেকে বের হতে কিছুটা বেগ পেতে হয়। খালেদা জিয়াকে বিদায় জানাতে বিকেল থেকে তার বাসভবনে অপেক্ষা করছিলেন হাজারো নেতাকর্মীরা।
দলটির পক্ষ থেকে জানানে হয়, কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ উড়োজাহাজ ‘রয়েল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে’হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ আট ঘণ্টার মতো ভ্রমণে দোহায় যাত্রাবিরতি করবেন তিনি।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের লন্ডন যাত্রা ঘিরে বিকেল থেকেই দলে দলে নেতাকর্মীরা গুলশান থেকে বিমানবন্দও পর্যন্ত জড়ো হতে থাকেন। এরআগে সন্ধ্যার পর খালেদা জিয়ার বাসভবনে প্রবেশ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। খালেদা জিয়াকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানাতে গুলশানসহ বিমানবন্দরের পথে রাস্তার দুপাশে হাজার হাজার বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষক জড়ো হন।
চোখ ও পায়ের ফলোআপ চিকিৎসার জন্য সবশেষ ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রæয়ারি দুর্নীতির এক মামলায় কারাবন্দি হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাকে রাখা হয় ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত ও নির্জন কারাগারে। কারাগারে থাকাকালে নানা রোগে আক্রান্ত হন বিএনপি নেত্রী। বারবার যেতে হয় হাসপাতালে। 
আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরে জামিন ও মুক্তি না মেলায়,প্রাণঘাতী করোনার প্রকোপে পরিবারের আবেদনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার কারাবাসের ২ বছর এক মাস ১৩ দিন পর শর্তসাপেক্ষে ৬ মাসের অস্থায়ী মুক্তি দেয় তাকে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ছয়মাস করে বাড়ানো হয় বেগম জিয়ার মুক্তির মেয়াদ।
এতদিন বাসা-হাসপাতাল, হাসপাতাল-বাসা এভাবেই কাটছিল বেগম জিয়ার জীবন। কয়েকদফা দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকতে হয় তাকে। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা বিএনপি নেত্রীকে বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে দেয়া হয় চিকিৎসা। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর কয়েকদফা তারিখ পরিবর্তন হলেও শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকায় কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডনে যাচ্ছেন বিএনপি নেত্রী। এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে আইসিইউ সুবিধা ছাড়াও রয়েছে তাৎক্ষণিক জীবন রক্ষার সব ধরনের সুবিধা। 
 

 

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!