মূল বেতনের সাথে রানিং অ্যালাউন্স (ভাতা) যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধার দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা থেকে এই কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে। এতে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন রেলের যাত্রীরা।
এ অবস্থায় আন্দোলনরত কর্মচারীদের কর্মবিরতি থেকে ফিরিয়ে আনতে তাদের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। কিন্তু দুই ঘণ্টা আলোচনা করেও কোনও সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক থেকে নেতারা উঠে গেছেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ভিআইপি রুমে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সেখান থেকে বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে রানিং স্টাফদের প্রতিনিধি সাইদুর রহমান বেরিয়ে আসেন।
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা দীর্ঘক্ষণ রেল সচিব-মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তবে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারিনি বলে ওই বৈঠক চলাকালীনই আমি চলে এসেছি। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যারা আছে, বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করব। তবে আমরা আমাদের কর্মবিরতিতে অনড় আছি।
বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, যাত্রীদের জিম্মি করে ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখে আন্দোলন করার বিষয়টিকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। এদিকে, রেল কর্মচারীদের আর কোনো দাবি পূরণ সম্ভব নয় জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, রেলের কর্মচারীদের যে যৌক্তিক দাবি, তা যতটুকু সম্ভব পূরণ করা হয়েছে। এরপরও তারা আন্দোলন করছে কেন? মানবিক কারণে যতটুকু করা দরকার করেছি। তিনি আরও বলেন, ওভারটাইম ইস্যুর সমাধান করা হয়েছে। এর বাইরের যেসব দাবি তা পূরণ করা সম্ভব নয়। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করতে হবে। অন্যদিকে আন্দোলনকারী কর্মচারী ও শ্রমিক নেতারা বলছেন, তাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচিতে অনড় থাকবেন তারা।
আপনার মতামত লিখুন :