বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১

নির্যাতনের লোমহর্ষক বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন নারীনেত্রীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৪, ০৯:৩৩ এএম

নির্যাতনের লোমহর্ষক বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন নারীনেত্রীরা

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় লাঞ্ছিত ও নির্যাতিত ছাত্রলীগের নারী নেত্রীরা। এ সময় তারা নির্যাতনের লোমহর্ষক বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। ২৯ জুলাই সোমবার বিকেলে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন কলেজের ছাত্রলীগের নারী নেত্রীরা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাদের কাছ থেকে নির্যাতনের বর্ণনা শোনেন। ছাত্রলীগ নেত্রীরা তাদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের বর্ণনা তুলে ধরেন। তাদের অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় সরকারপপ্রধান তাদেরকে সান্তনা দেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বাবা-মা সবাইকে হত্যা করা হয়েছে। তারপরও এ দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে আমি কাজ করেছি। বাংলাদেশকে একটি সম্মানের জায়গায় নিয়ে এসেছিলাম, সেটিকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। সাম্প্রতিক ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের আন্দোলন করতে এবং আমাকে খাটো করতে গিয়ে বাংলাদেশটাকে কোথায় টেনে নামালো সেটা একবার চিন্তা করে না। এদের মধ্যে যদি এতটুকু দেশপ্রেম থাকতো, দায়িত্ববোধ থাকতো—তাহলে এটা করতো না।
আন্দোলনকারীদের কারা অর্থ দিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, এরা এত টাকা কোথা থেকে পায়? কোথা থেকে পেলো? প্রতিদিনে তাদের আন্দোলনের খরচ, কে দিয়েছে সে টাকা? শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের যে মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করি, সেগুলো নষ্ট করে দেওয়া। এ আন্দোলনের ঘাড়ে চেপে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা সুযোগ পেয়ে গেলো। তাহলে আমার প্রশ্ন হচ্ছে অপরাধটা কী করলাম? মানুষের জীবনমান উন্নত করা? মানুষের খাদ্যের ব্যবস্থা করা? চিকিৎসার ব্যবস্থা করা? বিনা পয়সায় চিকিৎসা দিচ্ছি।
তিনি বলেন, আমার বাবা-মা সবাইকে হত্যা করেছে। তারপরও সেই কষ্ট বুকে নিয়ে এসে শুধু এই দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন, মানুষ একটু ভালো থাকবে। মানুষ উন্নত জীবন পাবে। মুক্তিযুদ্ধ করে বিজয়ী জাতি হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে আমরা যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি, সম্মানের সঙ্গে চলতে পারি। সেই সম্মানটা তো আমি এনে দিয়েছি বাংলাদেশকে। এটা তো কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। আজকে যেখানে যাবে বাংলাদেশ শুনলে সমীহ করে এবং মর্যাদার চোখে দেখে।
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’আওয়ামী লীগের সৃষ্টি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশের ডিজিটাল সিস্টেম আমারই করে দেওয়া। হাতে হাতে মোবাইল ফোন তো আওয়ামী লীগ সরকারই করে দিয়েছে।
যে প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষ ব্যবহার করে সুবিধা ভোগ করে, সেগুলো ধ্বংস করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কাজগুলো সেগুলো একে একে তারা ধ্বংস করে দিলো। কার স্বার্থে তারা এটা করেছে সেটাই প্রশ্ন। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাণহানির ঘটনার পর গত ১৭ জুলাই আন্দোলনকারী ছাত্রীদের তোপের মুখে পড়েন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের নেত্রীরা। তাদের অবরুদ্ধ করে মারধরও করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের সহযোগিতায় ১০ নেত্রীকে হল থেকে বের করে নেওয়া হয়।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!