বাংলাদেশ রেলওয়ে বিএনপির শাসনামলে চাকরি পাওয়া সরদার শাহাদত এখন বড় আওয়ামীলীগ! পদোন্নতি পেয়ে হয়ে গেছেন রেলের মহাপরিচালক। রেল মন্ত্রীর অনুমতি না নিয়েই তিনি রেলের ভাড়া বৃদ্ধির ঘোষনা দেন। এতে করে নয়া রেলমন্ত্রীর উপড় যাত্রীদের বিরুপ মনোভাব লক্ষ্য করা যায়। বাধ্য হয়ে রেলমন্ত্রী মো: জিল্লুল হাকিম সংবাদ সন্মেলন ডেকে ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি খোলশা করেন। রেলমন্ত্রী বলেন তিনি (সরদার শাহাদাত আলী) কি সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিক না কি? ঈদের আগে আগামী পহেলা এপ্রিল থেকে রেলওয়ের ভাড়া বাড়ছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করলেও এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম।
রবিবার (১৭ মার্চ) দুপুরে রেলমন্ত্রী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঈদের আগে কোনোভাবেই রেলের ভাড়া বাড়বে না। এমনকি নিকট ভবিষ্যতেও রেলের ভাড়া বাড়বে না। মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত আলীকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ট্রেনে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করে ভাড়ার হার সমন্বয় করা হবে। দীর্ঘদিন রেলের ভাড়া বাড়ানো হয়নি। জ্বালানিসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশের দাম বৃদ্ধির ফলে রেলের পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে এখন যে ছাড় দেওয়া হচ্ছে, তা আর না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে জিল্লুল হাকিম বলেন, তিনি (সরদার শাহাদাত আলী) কি সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিক না কি? আমি বলছি, এখন ভাড়া বাড়বে না। কখনও বাড়ার প্রয়োজন হলে আপনাদের (সাংবাদিকদের) সঙ্গে আলাপ করে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে সাধারণ মানুষকে জানান দিয়ে তারপর আমরা চিন্তা করবো। এ নিয়ে দ্বিধাদ্ব›েদ্বর কোনো কারণ নেই। প্রসঙ্গত: রেল মন্ত্রালয়ের দায়িত্বে আসা দেশের একজন অভিজ্ঞ রাজনৈতিক মো: জিল্লুল হাকিম। তাকে না জানিয়ে এমন একটি গুরুতপূর্ণ¡ বিষয় যা সাধারন যাত্রীদের উপড় চাপ বাড়ানো কাজটি বা সরকারের রেলমন্ত্রীকে শুরতে বিতর্কে ফেলার এটি কোনো ষড়যন্ত্র কিনা তা খতিয়ে দেখা উচিত বলে অভিজ্ঞমহল মনে করছে। সরদার শাহদাতকে রেলের মহাপরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া কতটা ভালো হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে?
আপনার মতামত লিখুন :