শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১

প্রেস সচিবের কঠোর হুঁশিয়ারি,আ’লীগকে বিক্ষোভ করতে দেয়া হবে না

ডেইলি খবর ডেস্ক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২৫, ০৫:১৯ পিএম

প্রেস সচিবের কঠোর হুঁশিয়ারি,আ’লীগকে বিক্ষোভ করতে দেয়া হবে না

গণহত্যা,হত্যাকান্ড এবং দুর্নীতির জন্য ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে বিক্ষোভ করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ বিষয়ে জানান তিনি। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘যতক্ষণ না আওয়ামী লীগ এই গণহত্যা, হত্যাকান্ড এবং দুর্নীতির জন্য ক্ষমা না চায়, যতক্ষণ না তার নেতা-কর্মীরদের বিচার না হয় এবং যতক্ষণ না আওয়ামী লীগ তার বর্তমান নেতৃত্ব এবং ফ্যাসিবাদী আদর্শ থেকে নিজেকে আলাদা করে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ করার কোনো সুযোগ নেই।’
প্রেস সচিব বলেন,আগস্টের শুরুতে অন্তর্র্বতী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে কোনো বৈধ প্রতিবাদ বন্ধ বা নিষিদ্ধ করেনি। আমরা সমাবেশের স্বাধীনতা এবং সমিতির স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। আজ সকালে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,গত সাড়ে পাঁচ মাসে শুধু ঢাকাতেই অন্তত ১৩৬টি বিক্ষোভ হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি বিক্ষোভ ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি করে। তবুও,আইজি কখনোই বিক্ষোভে কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করেননি।
তিনি আরো বলেন,আমরা কি ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ দলকে বিক্ষোভ করতে দেব? জুলাই এবং আগস্টের ভিডিও ফুটেজগুলো স্পষ্টভাবে দেখায় যে আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মীরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের হত্যায় অংশ নিয়ছিল যাদের মধ্যে অল্পবয়সী ছাত্র এবং নাবালক শিশুও ছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দলীয় নেতৃত্বই জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সময় গণহত্যা,খুন ও তান্ডবের জন্য দায়ী।
পৃথিবীর কোনো দেশই একগুচ্ছ খুনি ও দুর্নীতিবাজ দলকে ফিরে আসতে দেয় না মন্তব্য করে শফিকুল আলম বলেন, কোনো দেশই জবাবদিহিতা ছাড়া রিসেট করতে দেয় না। অন্তর্র্বতী সরকার বাংলাদেশি জনগণের ইচ্ছার প্রতিনিধিত্ব করে যারা খুনিদের প্রতিবাদের প্রতিক্রিয়া জানাবে। দেশকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেয়ার কোনো চেষ্টা আমরা হতে দেব না। আওয়ামী লীগের ব্যানারে কেউ অবৈধ প্রতিবাদ করার সাহস করলে আইনের পূর্ণ ক্ষমতার সম্মুখীন হবে।
অন্তর্র্বতী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আগামী ১৮ ফেব্রæয়ারি সারাদেশের হরতাল ডেকেছে আওয়ামী লীগ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে দলটির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। তাদের কর্মসূচিগুলো হলো—১ থেকে ৫ ফেব্রæয়ারি সারা দেশে লিফলেট বা প্রচারপত্র বিলি, ৬ ফেব্রæয়ারি প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ,১০ ফেব্রæয়ারি বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ, ১৬ ফেব্রæয়ারি অবরোধ এবং ১৮ ফেব্রæয়ারি দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক কঠোর হরতাল।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!