জাতীয় নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণাসহ জনদাবিতে বুধবার (১২ ফেব্রæয়ারি) থেকে শুরু হলো জেলায় জেলায় বিএনপির সমাবেশ। ৬৪ জেলার কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রথমে ছয়টি জেলায় সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে। বিকেলে লালমনিরহাট রেলওয়ে মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘দেশে কোনো পরিবর্তন চোখে পড়ছে না,সবকিছু আগের মত চলছে। বাজার ব্যবস্থায় সিন্ডিকেট এখনও অব্যাহত। সরকার এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে নাই। অন্তর্র্বতী সরকার নির্বাচনেও নাই, দেশ পরিচালনাও ব্যর্থ। তারা শুধু সংস্কার নিয়ে ব্যস্ত।’
বিএনপি নির্বাচনের জন্য অনন্তকাল অপেক্ষা করবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।এদিকে, খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন,‘অন্তর্র্বতী সরকার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যর্থ। সরকারের অনেকেই বিগত শেখ হাসিনা সরকারের সহযোগী এবং তারা সরকার পরিচালনায় অদক্ষ। তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়ে অর্ধেক সংস্কার হয়ে গেছে। মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী সংস্কার নির্বাচিত সরকার ছাড়া সম্ভব নয়। সংবিধান সংস্কারের অধিকার নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া আর কারও নেই। নির্বাচিত সরকার অবশ্যই এসব সংস্কার করবে।’সংস্কার নামে কালক্ষেপণ না করে দ্রæত সময়ের মধ্যে অন্তর্র্বতী সরকারকে নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মেজর হাফিজ।
দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জ পৌরশহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দলে দলে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে হাজির হন নেতাকর্মীরা। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। এছাড়া বিকেলে সিরাজগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও পটুয়াখালীতেও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য: নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা,আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি,দ্রæত গণতান্ত্রিক উত্তরণে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা এবং পতিত ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলাসহ বিভিন্ন দাবিতে এ কর্মসূচি নেয়ার কথা জানিয়েছে দলটি।
আপনার মতামত লিখুন :