বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১

শেখ হাসিনা দোষী সাব্যস্থ হলে অবশ্যই ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

ডেইলি খবর ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৪, ০২:২২ পিএম

শেখ হাসিনা দোষী সাব্যস্থ হলে অবশ্যই ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দোষী সাব্যস্থ হলে,প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী তাকে ফেরত চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
সোমবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন আসিফ নজরুল।আইন উপদেষ্টা বলেন, সাধারণত যখন কেউ দোষী সাব্যস্থ হন, প্রত্যর্পণের বিষয়টি তখন আসে। ভারতে থাকলে, ভারতের সঙ্গে যেহেতু চুক্তি আছে, চাওয়াটা সহজ হবে এবং দোষী সাব্যস্থ হলে অবশ্যই চাওয়া হবে।
গত জুলাই ও আগস্টের শুরুতে দেশে সংঘটিত গণহত্যার বিচার শুরু করার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করেছে অন্তর্র্বতী সরকার। এই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান করা হয়েছে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারকে। ট্রাইব্যুনালে সদস্য হিসেবে আছেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
পর্যাপ্ত বিচারপতির অভাবে ট্রাইব্যুনালে বিচারক নিয়োগ দিতে দেরি হচ্ছে বলে জানান অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে হাইকোর্টের দুজন বিচারপতি এবং একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজকে নিয়ে মানবতাবিরোধী ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যা করার ছিল, তা সম্পন্ন করা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা কাজ শুরু করেছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, যতটুকু অবগত হয়েছেন, ইতিমধ্যে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
আসিফ নজরুল বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকালে নির্মম গণহত্যা ঘটেছে, এক হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। হাজার হাজার ছাত্র-জনতাকে আহত করা হয়েছে। এ অপরাধের বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দু-এক দিনের মধ্যে সক্রিয় হয়ে যাবে বলে তিনি আশা করেন।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান গোলাম মর্তূজা মজুমদার ও সদস্য শফিউল আলম মাহমুদ হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে ৮ অক্টোবর নিয়োগ পেয়েছিলেন।
মূল অভিযুক্তদের বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য, জুলাই-আগস্টে গণহত্যায় যারা দায়ী ছিলেন বলে আমাদের বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ আছে, যারা প্রকাশ্যে গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ছাত্র-জনতাকে প্রতিরোধ করার, এমনকি গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন, তাদের অনেকেই গ্রেপ্তার হয়নি, আত্মগোপনে আছেন, পালিয়ে গেছে। যারা  গ্রেপ্তার আছে, তাদের বিচারে সমস্যার কথা না। আর যারা পালিয়ে গেছে, পলাতকদের বিচার করার বিধান এই আইনে রয়েছে। দোষী সাব্যস্থ হলে যেসব দেশের সঙ্গে আমাদের বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি আছে, কেউ যদি সেই দেশে থাকেন, তাহলে চুক্তি অনুযায়ী ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করব। যাদের সঙ্গে চুক্তি নেই, সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা অনুযায়ী ফিরিয়ে আনতে যতটুকু চেষ্টা করার তা করবো।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!