জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে হতাশ হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনিসহ তার দল আশা করেছিলো, প্রধান উপদেষ্টা সমস্যা চিহ্নিত করে নির্বাচনের রূপরেখা দেবেন।
সোমবার ১৮ নভেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপি আয়োজিত মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় দ্রæত নির্বাচন দেশের জন্য মঙ্গল হবে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, এই সরকার যতো দিন থাকবে, সমস্যা ততো বাড়বে। কারণ এরা নির্বাচিত নয়। তাই সরকারকেই সেটি চিন্তা করতে হবে।
বিএনপিও সংস্কার চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই বছর আগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য,সংসদ,বিচারবিভাগসহ নানা সংস্কারের কথা তুলে ধরেছেন। এখন মানুষ সেই সংস্কার প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। এই সরকারকে সংস্কার যৌক্তিক সময়ে করতে হবে। এমন যেন না হয়, মানুষ যেন না ভাবে- বর্তমান সরকার ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে চায়।
এসময় ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চেয়ে শেখ হাসিনার পরিণতির কথাও মনে করিয়ে দেন বিএনপি মহাসচিব।
তরুণরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থান আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অস্বীকার করার সুযোগ নাই। তারা স্ট্রাইকার ছিলো। গোলে শেষ লাথিটা তারাই মেরেছে। তাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনোভাবেই দূরত্ব তৈরি করা যাবে না। তবে আমরা এমন কাজ যেন না করি, যাতে দেশে আবারও অনিশ্চয়তা, অস্থিরতার সৃষ্টি হয়।
সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়,অন্তর্র্বতী সরকারকে এমনভাবে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানিয়ে ফখরুল বলেন, আমরা বর্তমান সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি এবং দেবো। তবে ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনও বসে আছে। তারা সংস্কার করতে দেবে না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখছি না। এগুলো দৃশ্যমান করুন।
আপনার মতামত লিখুন :