ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পট-পরিবর্তন হলেও এখনো পুরোপুরি বিপদ কেটে যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,আপনারা সবাই সজাগ থাকবেন,সতর্ক থাকবেন। বিপদ শেষ হয়ে যায়নি। নতুন করে বিপদ আসার সম্ভাবনা আছে। গণতন্ত্রকে আঘাত করার, নষ্ট করার চক্রান্ত চলছে আবার।`
মঙ্গলবার ৫ নভেম্বর বিকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
‘৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও জাতীয় সংহতি দিবস` সামনে রেখে সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল। আয়োজক সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চলনায় বক্তব্য দেন-বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদষ্টো তাহসিনা রুশদীর লুনা প্রমুখ।
প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রæত নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন,আমরা সবাই মিলে একটি অন্তর্র্বতী সরকার তৈরি করেছি। তাদের এই আশায় দায়িত্ব দিয়েছে যে,তারা অতি দ্রæত প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দেবেন। নির্বাচিত সরকারই শ্রেষ্ঠ সরকার। নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের দরজা, সে দরজা পার হয়েই গণতন্ত্রের পথে যেতে হবে।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর বিপ্লবের নায়ক সাধারণ সিপাহী ও জনতা। ৭ নভেম্বরের বিপ্লব নতুন করে বাংলাদেশকে বিনির্মাণের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। ৭ নভেম্বরের পর শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দায়িত্ব না নিলে এ দেশের ভাগ্যে কি হতো বলা যায় না। জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব বিভক্ত জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। তিনি অন্ধকার থেকে দেশকে আলোতে নিয়ে আসেন।
নেতা-কর্মীদের সজাগ ও সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন,বুকে চেপে থাকা দানব সরে গেছে। বিপদ শেষ হয়নি,নতুন করে বিপদ আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিএনপির উপর সবসময় আঘাত এসেছে। আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :