হেরেও চাপে পাকিস্তান। যা ছিল খেলার সময়ে। পাকিস্তারে সাথে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মাঠে নেমে প্রথমে রান খরা যাচ্ছিল বিরাট কোহলির। ইংল্যান্ড সিরিজে ফিফটি দিয়ে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এবার পাকিস্তানকে সামনে পেয়েই গর্জে উঠলেন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটার। দারুণ উপভোগ্য এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন কোহলি। ভারতও ৬ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তানকে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে এক পা দিয়েছে রোহিত শর্মার দল।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পেলেও জোড়ায় জোড়ায় উইকেট হারিয়ে ২ বল থাকতে ২৪১ রানে অলআউট হয় পাকিস্তাস। জবাব দিতে নেমে ভারত ৪২.৩ ওভারে জয় তুলে নেয়। কোহলির সেঞ্চুরির সঙ্গে ফিফটি করেছেন শ্রেয়াস আইয়ার।
কোহলি ১১১ বলে হার না মানা ১০০ রানের ইনিংস খেলার পথে ওয়ানডে ফরম্যাটে ইতিহাসের তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে ১৪ হাজার রানের কীর্তি গড়েন। ওয়ানডের ৫১তম সেঞ্চুরির ইনিংস তিনি সাতটি চারের শটে সাজান। ওয়ানডে ফরম্যাটে ৯ ইনিংস ও প্রায় ১৫ মাস পরে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন তিনি।
এর আগে পাকিস্তান ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিংয়ে ৪১ রানের জুটি পায়। ওপেনার বাবর আজম ২৩ বলে ২৬ রান করে ফেরেন। দলের রান ৪৭ হতেই রান আউটে কাটা পড়েন ইমাম উল (১০)। এরপর সৌদ শাকিল ও মোহাম্মদ রিজওয়ান ১০৪ রানের জুটি গড়েন। রিজওয়ান ৭৭ বলে ৪৬ রান করেন। স্কোরবোর্ডে ৬ রান যোগ হতেই ফিরে যান শাকিল। তার ব্যাট থেকে ৭৬ বলে ৬২ রান আসে। পাঁচটি চার মারেন তিনি।
তারা ফিরতেই একে একে সাজঘরে ফেরার মিছিলে নেমে অলআউট হয় পাকিস্তান। সালমান আঘা ১৯, তায়েব তাহির ৪ রান করে ফিরে যান। লোয়ারে স্পিন অলরাউন্ডার খুশদীল শাহ ৩৯ বলে দুই ছক্কায় ৩৮ রানের ইনিংস খেলে পাকিস্তানকে লড়াই করার পুঁজি এনে দেন।
রান তাড়ায় নেমে ভারত ৩১ রানে প্রথম ও ১০০ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায়। অধিনায়ক রোহিত শর্মা ১৫ বলে ২০ রান করে ফিরে যান। শুভমন গিল ৫২ বলে ৪৬ রান করেন। কোহলি ও আইয়ার ১১৪ রান যোগ করে ম্যাচ সহজ করে ফেলেন। আইয়র ৬৭ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। পরেই হার্ডিক পান্ডিয়া (৮) ফিরলেও ম্যাচ কঠিন হয়নি ভারতের। শেষ পর্যন্ত জয়ের জন্য ভারতের ১২ ও সেঞ্চুরির জন্য কোহলির সমান রান দরকার ছিল। সেটা জয়ের জন্য ২ ও সেঞ্চুরির জন্য ৪ রানে নেমে আসলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে শতক পূর্ণ করেন কোহলি।
আপনার মতামত লিখুন :